পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ চলমান হিজাব-বিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণ ও জাতীয় আইন লঙ্ঘনের জন্য কমপক্ষে ৪০০ জনকে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে ইরানের এক আদালত। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য ১৬০ জনকে ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর বাকিদের ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জরিমানা করা হয়েছে অন্তত ৭০ জনকে। এর আগে দেশটিতে হিজাব-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় এক সপ্তাহের মধ্যে ২জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় মোহসেন শেখারি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান।
একজন নিরাপত্তারক্ষীকে ছুরি মেরে আহত করার এবং তেহরানের রাস্তা অবরোধ করে ”যুদ্ধ’ ঘোষণা করার জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, সোমবার দ্বিতীয় প্রতিবাদকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে হত্যার দায়ে ওই ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, হিজাব ইস্যুতে পুলিশি হেফাজতে এক কুর্দ তরুণীর মৃত্যুর পর গত সেপ্টেম্বরে ইরানে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পরে সহিংস রূপ নেয়।
ইরান বলেছে, এই বিক্ষোভের উসকানিদাতারা হলেন পশ্চিমা নেতারা যারা দীর্ঘকাল ধরেই ইরানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে মরিয়া। আমেরিকাও হিজাব ইস্যুতে ইরানকে বিশ্বদরবারে কোণঠাসা করতে চাইছে। কারণ আমেরিকা ভালোই জানে, সামরিক শক্তির ভয় দেখিয়ে ইরানকে কাবু করা সম্ভব নয়। ইরানের সরকারকে উৎখাত করে একটি পশ্চিমাপন্থী সরকার গঠনই আমেরিকার উদ্দেশ্য বলে মত গবেষকদের।