পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ভোটার আই কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বরের লিঙ্ক করার কাজ চলছে কিন্তু অনেকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না সেজন্য সতর্ক করছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ইতিমধ্যে হায়দরাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় তিন লক্ষ ভোটারদের নাম বাদ পড়েছে আর তাদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সেজন্য তেলেঙ্গানা মিসেভা ফেডারেশন এই জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করতে চাইছে। তারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সচেতনতা সভা করেছে।
‘নাগরিকত্ব বাঁচান’ এই নাম দিয়ে বহু সংস্থা সাধারণ মানুষদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। তারা জানাচ্ছে সম্ভাবনা রয়েছে মার্চের পরই আরও অনেক ভোটারের নাম বাদ পড়বে। আর শুধু ভোটার লিস্টে নাম নয় আধার লিঙ্ক করা না হলে অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। যেমন প্যান কার্ড অচল হতে পারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা ও তোলা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সরকারি অন্যান্য সুবিধাগ্রহণ বন্ধ হবে। আধার কার্ড আপডেটেড না হলে অন্যান্য সব কার্ড অকেজো হয়ে পড়বে।
শাহীন গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কাদির সহ বিভিন্ন নামকরা এনজিও-র প্রধানদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে আধার কার্ড ভোটার কার্ড লিঙ্ক করার কাজে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য।
সামান্য গাফিলতিও অনেকের কাছে পরে বড় বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। অনেকে মনে করছেন ঘুরপথে এনআরসি শুরু হয়ে গেছে। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার অর্থ ডি-ভোটার।
আরডি ভোটারদের মর্মান্তিক পরিণতি ও অভিজ্ঞতার সামনে পড়তে হয়েছে অসমের মানুষদের। অনেকে আধার কার্ড বানিয়ে নিশ্চিত হয়ে রয়েছেন। আবার অনেকে ভাবছেন আইনগতভাবে আধার বাধ্যতামূলক করা হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশাসনিক স্তরে দুরাবস্থার মধ্যে পড়তে হবে অসাবধানী মানুষদের। বিশিষ্টজনদের আবেদন আধার কার্ডকে ত্রুটিমুক্ত করে ভোটার আইডি-র সঙ্গে লিঙ্ক করার কাজকে গুরুত্ব দিতে হবে।
ডা. আবদুল কাদের বলেন, আমরা সমীক্ষা করে দেখেছি বিহার কেন্দ্রেই ইতিমধ্যে ৮০০০ নাম বাদ পড়েছে। তাই দেশের সর্বত্রই সংখ্যালঘুদের এই বিষয়ে সজাগ থাকার আবেদন জানালেন তিনি।