পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গুজরাতের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচিত ১৮২ জন বিধায়কের মধ্যে মোট ১৫১ জন বা ৮৩ শতাংশই ‘কোটিপতি’ ( অর্থাৎ যাঁদের স্থাবর এবং অস্থাবর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি টাকা বা তার বেশি)অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) এবং গুজরাত ইলেকশন ওয়াচের একটি যৌথ সমীক্ষা থেকে এই তথ্য জানা যাচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপির মোট ১৩২ জন কোটিপতি বিধায়ক রয়েছেন,এরপর কংগ্রেসের কোটিপতি বিধায়কের সংখ্যা ১৪জন, নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন এবং আম আদমি পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টির একজন করে।
১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে মোট ১৫৬ টি আসন। এই নিয়ে টানা সাতবার বিজেপি ক্ষমতায় এল গুজরাতে।সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে ধনী বিধায়ক হচ্ছেন বিজেপির মানসার বিধায়ক জে এস প্যাটেল, তাঁর সম্পতির মোট মূল্য ৬৬১ কোটি টাকা। এরপরে ক্রমপর্যায়ে রয়েছেন সিদ্ধপুরের বিধায়ক বলবন্তসিংহ রাজপুত (৩৭২ কোটি টাকা),২০১৭ সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এছাড়াও বিজেপির রাজকোট দক্ষিণের বিধায়ক রমেশ টিলালার সম্পত্তির পরিমান ১৭৫ কোটি টাকা।
এখানেই শেষ নয় বিজেপি বিধায়ক বাবুভাই প্যাটেলের সম্পদ ২০১৭ সালে ছিল ৩২.৫২ কোটি টাকা যা ২০২২ সালে৬১.৪৭ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে, ২৮ কোটি টাকা। বিজেপি বিধায়ক হর্ষ সাঙ্ঘভির সম্পদ ২০১৭ সালে ছিল ২.১২ কোটি টাকা , তা বেড়ে ২০২২ সালে ১৭ কোটি টাকা হয়েছে। সম্পদের বৃদ্ধির তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক জগদীশ বিশ্বকর্মা, যার মোট সম্পদ ১৪.৭৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২৯.০৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ পাঁচ বছরে ১৪ কোটি টাকার বেশি বেড়েছে সম্পদ।
এডিআর এবং গুজরাত ওয়াচের সমীক্ষায় বলা হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের মনোনয়নের সঙ্গে পেশ করা সম্পত্তির হলফনামা থেকেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।সমীক্ষা থেকে আরও জানা যাচ্ছে ৭৪ জন বিধায়ক পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং তাঁদের সম্পদ গড়ে ২.৬১ কোটি টাকা বেড়েছে, যা ২০১৭ এর তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। এডিআর এবং গুজরাত ওয়াচের সমীক্ষায় আরও জানা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের হয়ে যেমন ১৫৪ জন কোটিপতি প্রার্থী টিকিট পেয়েছিলেন তেমন কংগ্রেস টিকিট দিয়েছিল ১৪২ জনকে। আপের ছিলেন ৬৮ জন কোটিপতি প্রার্থী। এই প্রার্থীদের গড় সম্পত্তির মোট পরিমান দাঁড়াচ্ছে ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এমনটাই দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।