পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জামিন পেয়েও ফের গ্রেফতার তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত। মোদি সম্পর্কে একটি ট্যুইট করায় ২ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেলকে। মঙ্গলবার ভোররাতে জয়পুর বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আহমদাবাদের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার জামিন পেয়েছিলেন সাকেত। এ দিন বিকেলে তাঁর জামিনের পর পরই সেই খবর ট্যুইট করে জানান তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, নির্ভীক সাকেত আহমদাবাদে কয়েক মিনিট আগে জামিন পেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় আমরা সবাই ন্যায়ের পক্ষে লড়াইয়ের জন্য সর্বদা প্রস্তুত। কিন্তু এই ট্যুইটের কয়েক ঘণ্টা পরেই ফের একটি ট্যুইটে ডেরেক জানান, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। জামিন পেয়েও সাকেতকে হেনস্থা গুজরাত পুলিশের। ৮টা ৪৫ নাগাদ ফের তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যখন তিনি আহমদাবাদের সাইবার থানা ছেড়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই পুলিশ টিম কোনও নোটিশ/ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে অজানা স্থানে নিয়ে যায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
সাকেতের গ্রেফতারি রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। সামান্য একটি ট্যুইটের জন্য এভাবে গ্রেফতার করা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিহিত করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি সামান্য ট্যুইট করায় ওকে গ্রেফতার করা হল! আমার বিরুদ্ধেও তো কত ট্যুইট হয়। সাকেত বলেছিলেন, যাদের গাফিলতিতে ব্রিজ ভাঙল তাদের কিছু হল না। আর মজা করে একটি ট্যুইট করায় গ্রেফতার হতে হল আমাকে।
প্রসঙ্গত, একটি ভুয়ো তথ্য দিয়ে ট্যুইটের জন্য সাকেতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গুজরাতে মোরবি ব্রিজ বিপর্যয়ের পর মোদি সেই স্থল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় প্রায় ১৪১ জন প্রাণ হারান। মোদির পরিদর্শনকে কটাক্ষ করতে সাকেত একটি ট্যুইট করেছিলেন যে আরটিআই মারফত জানা গিয়েছে, এতে সরকারের ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পুলিশের দাবি, এমন কোনও আরটিআই হয়নি। জাল আরটিআই নথি দেখানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। সাকেতের পক্ষ নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, বিজেপি যদি মনে করে এতে আমরা ভয় পেয়ে মাথা নোয়াব, তাহলে সেটা হবে তাদের মূর্খামি।