পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ দিল্লিতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ অবস্থাতে পৌঁছেছে। রাজধানীর অনেক এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। শ্বাসকষ্টজনিত রোগ সহ চোখ জ্বালা , মাথা যন্ত্রণার মতো শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন অনেকেই। পরিবেশবিজ্ঞানীদের মতে, দিল্লির বাতাস ক্রমশই প্রাণঘাতী হয়ে পড়ছে।
দীপাবলির পর থেকে দূষণের মাত্রা আরও বেড়ে চলেছে। কমার লেশ মাত্র নেই। এমত অবস্থায় রবিবার নির্মাণকাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার। সরকারের এক ঊর্ধ্বতন আমলা জানিয়েছে,কিছুদিন পর দূষণের মাত্রা কমলে, নির্মাণকাজের ওপর দেওয়া এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা বিশ্বের ৫০টি শহরের মধ্যে ৩৫টি’ই ভারতে। দূষণ কমাতে দিল্লি প্রশাসন প্রতিবছর নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও পরিস্থিতি খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
প্রতিবারই দীপাবলির আগে আতশবাজি পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তা একপ্রকার অমান্য করেই দীপাবলি উৎসব উদ্যাপন করে থাকেন স্থানীয়রা। আর এতেই, মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের কবলে পড়েন দিল্লিবাসী। শীত এলেই প্রায় প্রতি বছর দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত আকার ধারণ করে।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেজরি সরকার জানিয়েছেন, এর মূল কারণ হল ন্যাড়া পোড়ানো। সাধারণত শীতের মুখে ফসল তুলে নেন পঞ্জাব ও নয়ডার কৃষকরা। এর পরই ফসলের গোড়া পুড়িয়ে নতুন করে জমিতে চাষ শুরু করেন কৃষকরা। পঞ্জাব , নয়ডা থেকে উড়ে আসা ধোঁয়া এই দূষণের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার বিকেল চারটে পর্যন্তও দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল ৪০৭ একিউআই ( বাতাসের গুণগত মান)। একিউআই ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে তা ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে ‘খুব খারাপ’, ৪০১ থেকে ৫০০ ‘বিপজ্জনক’ হিসেবেই গন্য করা হয়।