ইনামুল হক, বসিরহাট: ক্রীড়ার শহর বসিরহাট। ফুটবলের ময়দান থেকে উঠে আসা একাধিক তরুণ তুর্কি দাপিয়ে খেলেছেন রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরে। ফুটবলের পাশাপাশি এবার ক্রিকেট-এর নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছে বসিরহাটের ক্রীড়া অনুরাগী কর্মকর্তারা। বিশেষ করে অতিমারি করোনাকালে মোবাইল আর ইন্টারনেটে আসক্ত নতুন প্রজন্মকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে এই ক্রীড়া সংস্কৃতির বিকল্প যে কিছু হতে পারে না তা উপলব্ধি করেছেন তারা। বলা বাহুল্য, নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে খুদেরা ঘরবন্দী অবস্থায় অনলাইনে লেখা পড়ার পরেও সময় কাটাচ্ছে এই শতাব্দীর অন্যতম সেরা প্রযুক্তি মোবাইল নামক যন্ত্র নিয়ে। পাশাপাশি এর অতি ব্যবহার বা অপব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন ও আশঙ্কায় দিন কাটছে অভিভাবকদেরও। তাই নতুন প্রজন্মকে মাঠমুখী করতে অভিনব উদ্যোগ লক্ষ্য করা গেল বসিরহাটে। দীর্ঘদিন ধরে ফুটবলের শহর হিসেবে পরিচিত বসিরহাটে ক্রিকেটের উন্মাদনাও কম ছিল না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পরিকাঠামো, সঠিক লীগ ও অর্থাভাবে ক্রিকেট বসিরহাটের বুক থেকে একপ্রকার মুছে যেতে বসেছিল। তাই বসিরহাট প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট কমিটি ক্রিকেটে বসিরহাট প্রিমিয়ার লিগ করার পথে এগিয়েছে।
সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আট দলের এই টুর্নামেন্ট অংশগ্রহণ করবে মোট শতাধিক নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটার। বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত থেকে শুরু করে সুন্দরবন পাশাপাশি টাকি, বাদুড়িয়া, হাসনাবাদ ও বসিরহাটের মতো শহরের তরুণ তুর্কি ক্রিকেটাররা এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে। দীর্ঘদিন ধরে বসিরহাট মহকুমায় একটি ক্রিকেট লিগ চললেও সেটি সঠিক পরিকাঠামোর অভাবে ধুকতে বসেছিল। পাশাপাশি ক্রীড়াবিদরা খেলে ঠিকঠাক টাকা না পেয়ে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। সেই অর্থাভাব কাটিয়ে তাদের ক্রিকেটে ধরে রাখতে এক প্রকার আইপিএলের ধাঁচে নিলামের মাধ্যমে ক্রিকেটার কেনা-বেচার এই নতুন প্রয়াস। এদিন বসিরহাটে অনুষ্ঠিত এই নিলামে একাধিক দলের কর্মকর্তারা যোগদান করেন এবং নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে নিলাম করে ক্রিকেটারদের কেনাবেচা করা হয়। যার জেরে নতুন প্রজন্মের কাছে নতুন দ্বার খুলে গেল। কারণ ক্রিকেটারদের সব থেকে বড় সমস্যা অর্থ। সেই অর্থের সমস্যা কাটতে চলেছে। এই লিগের মাধ্যমে আগামী দিনে বসিরহাট থেকে নতুন তারকা ক্রিকেটার উঠে আসবে এমনটাই মনে করছেন উদ্যোক্তারা।