পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ধর্ষিতাকে বিয়ের জন্য চাপ ধর্ষকের। বিয়ে না করলে পুরো পরিবারকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি। চাপে অতিষ্ঠ হয়ে গায়ে শেষ পর্যন্তও আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় নির্যাতিতা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের ফতেগড় থানা এলাকায়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি গণধর্ষণের শিকার হয় ওই নাবালিকা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করলে অভিযুক্ত দু’ই জনকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। চলতি বছরের অগস্ট মাসে জামিনে অভিযুক্ত দু’জনই জেল থেকে মুক্তি পান।এর পরই মামলা তোলার জন্য নির্যাতিতাকে চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এর পর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই নাবালিকা নির্যাতিতা।
সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতার বাবা জানান, ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেললো। ওই দু’জন আমার মেয়েটার জীবন শেষ করে দিল। মেয়ের মোবাইলে ওঁরা অনবরত মেসেজ পাঠাত। হুমকি দিয়ে বলত, কথা না শুনলে শুধু তাঁকেই না গোটা পরিবারকে শেষ করে দেওয়া হবে। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে আমার মেয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি তখন মাঠে কাজ করছিলাম। চিৎকার শুনে দৌড়ে ঘরে এসে দেখি এই কাণ্ড।
তিনি আরও বলেন, গুরুতর জখম অবস্থায় ওই নির্যাতিতাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নাবালিকার দেহের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন নির্যাতিতার বাবার। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল। ওই দিন মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই নাবালিকা। সে সময় দুই অভিযুক্ত পিছন থেকে এসে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এবং পালা করে ধর্ষণ করে।
পুলিশকে দেওয়া বিবৃতিতে ওই নাবালিকা বলেছিল, “আমাকে জোর করে ফাঁকা জায়গা নিয়ে গিয়েছিল ওরা। আমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করেছিলাম তারপরেও থামেনি ওরা। সেই সময় এক জন আমার হাত ধরে রেখেছিল অন্য জন ধর্ষণ করেছিল। এ ভাবে দুজন ধর্ষণ করে আমাকে ফেলে চলে যায়। আমার যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখি আমি হাসপাতালে।”
তবে উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের ধর্ষণের ঘটনা এই প্রথম নয়। এই রকম ঘটনা ওখানে অহরহ ঘটতে থাকে। তবে এদিনের ঘটনার পর একপ্রকার নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। বারবার একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পরেছে রাজ্যের প্রশাসন।