পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : জামিন পেলেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার দানুষ্কা গুণতিলকা। যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ ১৮ দিন কারাবাসে থাকার পর শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। সিডনির একটি আদালত ২ লক্ষ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময়ে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার দানুষ্কা গুণতিলকা জামিন দিয়েছে। তবে এখনই দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি, আপাতত তাকে অস্ট্রেলিয়াতে থাকতে হবে। গুণতিলাকার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। তাকে ইংল্যান্ডের কাছে গ্রুপের শেষ ম্যাচ হারের পর সিডনির টিম হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়। ৭ নভেম্বর তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার জামিনের আবেদন করেন ক্রিকেটার।
তার পরেই তার আবেদন মঞ্জুর হয়। শুনানির দিন ভিডিও লিংকের মাধ্যমে পার্কলি জেল থেকে হাজিরা দেন দানুষ্কা গুণতিলকা। তাঁর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মহিলা শারীরিক নির্যাতন এবং গলা টিপে ধরার অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই জামিন পেলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার। আদালত তার ব্যাপারে কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই শর্তগুলি মেনে চলতে হবে ক্রিকেটারকে। সেগুলির মধ্যে রয়েছে প্রতিদিন থানায় হাজিরা সহ কোনও ডেটিং সাইট ব্যবহার করা যাবে না। অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা যাবে না। পরবর্তী শুনানি ১২ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হওয়া ২৯ বছরের এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার দানুষ্কা গুণথিলাকা। ২ নভেম্বর সিডনির এক স্থানীয় হোটেলে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
গত ৭ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড একটি বিবৃতিতে জানায়, ‘আইসিসি আমাদের জানিয়েছে, এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে আমাদের ক্রিকেটার গুণতিলকাকে গ্রেফতার করেছে সিডনি পুলিশ। ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা বিষয়টির দিকে নজর রাখছে। আইসিসির সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে। আশা করব যথাযথ তদন্ত হবে। অভিযুক্ত ক্রিকেটার সত্যিই অপরাধ করে থাকলে, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
গুণতিলকাকে গ্রেফতারের পর নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়, একটি ডেটিং অ্যাপে যোগাযোগের পর ২৯ বছরের এক মহিলার সঙ্গে এক জন পুরুষ দেখা করেছিলেন। মহিলার অভিযোগ, গত ২ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু শুরু হয়েছে। পুলিশ বিভাগের অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।