পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ কানপুরের কাছে ঘটামপুরে কয়েকজনকে জোর করে খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে ২ যাজক সহ মোট ৪জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতার অভিযোগ, ধর্মান্তরণের জন্য অর্থ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও বাড়ি তৈরিতে সাহায্য, বিয়ের সময় আর্থিক সহ সব ধরনের সাহায্যের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। স্থানীয় ইশু আবস্তি নামে এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই মামলাটি করে।
অভিযোগকারিনীও ওই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির সদস্য বলে জানা গিয়েছে। ইশুর দাবি, রাজেশ সুনারে নামে এক যাজক তাঁকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশের কাছে ইশু যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত যাজক তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, তিনি খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করলে ও প্রার্থনার জন্য গির্জায় গেলে তাঁর জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন।
যেহেতু ওই মহিলা অবিবাহিত তাই বিয়ের সময়ও তাঁকে অর্থ থেকে শুরু করে অনুষঙ্গিক অন্যান্য সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিনি যাজকের প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান সোজা থানায় চলে আসেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার জন্য। এই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আনন্দ প্রকাশ তিওয়ারি বলেন, একটি নির্দিষ্ট গির্জার বিরুদ্ধে অসৎ উপায় অবলম্বন করে ধর্মান্তরণের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আমরা ধর্মান্তরিতদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। আমরা তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আমরা জানার চেষ্টা করছি, তারা স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়েছিল নাকি তাদের ধর্মান্তরিত করতে জোর খাটানো হয়েছিল বা ভয় দেখানো হয়েছিল। এদিকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হতেই ২ যাজক সহ ৪ অভিযুক্তই পলাতক। পুলিশের দাবি, জগরাম নামে আরও এক যাজক এই ধর্মান্তরণের ঘটনায় জড়িত ছিল। ১০ বছর আগে সে শহরে এসেছিল। বাড়িতেই যে ধর্মীয় প্রার্থনার আয়োজন করত। সেখানে সে মানুষকে খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণের জন্য প্রলুব্ধ করত। এদিকে, এই ঘটনার খবর সামনে আসতেই রে রে করে আসরে নেমেছে বজরং দল। তাদের দাবি, অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়া না হলে তারা রাস্তায় নামবে।