পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ছেলের কর্মকাণ্ডের পর থেকেই বেপাত্তা আফতাবের পরিবার। এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও হদিশ মেলেনি মেলেনি বলে জানিয়েছে পালঘরের মানিকপুর থানার পুলিশ।
আরও জানা গেছে, পুলিশকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে শ্রদ্ধা কাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার পরিবার। আফতাবের কাছ থেকে বয়ান পাওয়ার পরেই তার পরিবারের লোকেদের থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তার পর থেকেই আর হদিশ নেই আফতাবের পরিবারের। এক অজ্ঞাতবাসে চলে গিয়েছেন তারা। আফতাবের পরিবারের মানিকপুরা থানার সঙ্গে আর যোগাযোগ করেনি। শ্রদ্ধা কাণ্ডে তার বাবা বিকাশ ওয়াকারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ছেলের কর্মকাণ্ডের জেরে বাড়ি ছাড়া হয়েছে আফতাবের পরিবার। পুলিশের তরফ থেকে প্রথম সমন জারি করার পরেই আফতাবের পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়। এর পর আফতাবের পরিবারকে ফের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় ডেকে পাঠানো হয়। এর পর পুলিশ গত ৮ নভেম্বর এই কেসের তদন্ত করতে দিল্লি আসে। গত ২৬ অক্টোবর প্রথমবার আফতাবের বয়ান নেয় পুলিশ। সে তখন পুলিশকে জানায় শ্রদ্ধা ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। এর পর গত ৩ নভেম্বর লিখিত স্টেটমেন নেওয়া হয়। সেখানে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যের বিস্তারিত ও ফোনের মোবাইল নাম্বার ট্র্যাক করে লোকেশন জানার চেষ্টা করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২২ মে থেকে ২৬ মে-র মধ্যে শ্রদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে আফতাবের অ্যাকাউন্টে ৫৪ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। ফোনের লোকেশন ছিল ছত্তরপুরের মেহরৌলি, যেখানে তারা একসঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এখানেই পুলিশের সন্দেহ হয়, যদি ২২ মে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় শ্রদ্ধা, তবে বাড়ির পাশেই কীভাবে শ্রদ্ধার ফোনের লোকেশন পাওয়া গেল।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আফতাব জানায়, তাঁর কাছেই শ্রদ্ধার ফোন ও ব্যাঙ্কিং অ্যাপের পাসওয়ার্ড থাকায় তিনিই আর্থিক লেনদেন করেছিলেন। সন্দেহ এড়াতে শ্রদ্ধার ক্রেডিট কার্ডের বিলও মিটিয়ে দিয়েছিলেন আফতাব, যাতে ব্যাঙ্কের তরফে শ্রদ্ধার মুম্বইয়ের ঠিকানায় কাউকে পাঠানো না হয়।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, শ্রদ্ধার উপস্থিতি বোঝাতে আফতাবই তার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে শ্রদ্ধার বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করত। ৩১ মে-র চ্যাটে ফোনের লোকেশন ফের মেহরৌলিতে দেখা যায়। এরপরই মুম্বইয়ের ভাসাই পুলিশ দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে।