পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেসের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা অজয় মাকেন। রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ রাহুল গান্ধির কাছে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন তিনি। তবে তার পদত্যাগ পত্র এখনও মঞ্জুর করা হয়নি বলে জানা গেছে। পদত্যাগের ফলে সেপ্টেম্বরের বিদ্রোহের পর ফের সঙ্কটে পড়তে চলেছে রাজস্থান কংগ্রেস। পদত্যাগ পত্র দেওয়ার পর পরই ফের নিজের চিকিৎসা করাতে বিদেশে রওনা দিয়েছেন অজয় মাকেন। দলের তরফ থেকে এই বিবৃতি জানানো হয়েছে। তবে দলের তরফে এখনও কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
তবে সূত্রের খবর, অজয় মাকেন গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাহুল গান্ধিকে ও দিল্লির ভারপ্রাপ্ত পিসি চাকোকে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছিলেন। নগর নিগমের নির্বাচনের সময় যখন কংগ্রেস হেরে যায়, তখন অজয় মাকেন পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় তাঁর পদত্যাগ স্বীকার করা হয়নি। ২০১৫ সালে অরবিন্দর সিংহ লাভবির স্থানে অজয় মাকেনকে বসানো হয়েছিল। তাঁকে দিল্লির অধ্যক্ষ হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে গত সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনাক্রমই তাঁর পদ ছাড়ার মূল কারণ।
যেভাবে, তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকাকালীন, রাজস্থানে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন দলীয় বিধায়করা, তারপর রাজ্যের ইন-চার্জের পদে নতুন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করা উচিত বলে মনে করছেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ নভেম্বরই দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে একটি ১ পৃষ্ঠার ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন অজয় মাকেন। সেই চিঠিতে তিনি বলেছেন, ‘ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন নতুন ইনচার্জ নিয়োগ করতে হবে। কারণ, আগামী মাসের শুরুতেই রাজস্থানে আসছে ভারত জোড়ো যাত্রা এবং ৪ ডিসেম্বর একটি উপনির্বাচন আছে।’
তিনি আরও জানান, গত তিন প্রজন্ম ধরে কংগ্রেসের মতাদর্শে বিশ্বাসী তিনি। সর্বদা রাহুল গান্ধির অনুগামী হয়ে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লি কংগ্রেসের শীর্ষ পদ থেকে মাকেনের পদত্যাগ এই প্রথম নয়। ২০১৭ সালেও তিনি তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি লিখে পদত্যাগ করেছিলেন। সে বার দিল্লি পুর নির্বাচনে দলের খারাপ ফলের দায়ভার মাথায় নিয়ে পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তৎকালীন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধির কথায় শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেননি।