পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে হাড়হিম করা খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে আবতাব আমিন পুনাওয়ালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেলে সিসিটিভির ২৪ ঘণ্টাই কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে আফতাবকে। পরিকল্পনা মাফিক শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তার দেহের ৩৫টি খুন করে সেই আবাসনেই ছিল আফতাব আমিন। শনিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের পর বান্ধবী বা লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহ দিল্লির জঙ্গলে ছড়িয়ে ফেলেছিল সে। আজ আফতাবকে নিয়ে দিল্লির সেই সমস্ত জঙ্গলে শ্রদ্ধার কাটা মাথা খুঁজছে পুলিশ। তদন্তে স্বার্থে ঘটনাস্থলে তাকে আজ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শ্রদ্ধাকে দেহের টুকরো টুকরো করার পর প্রতিদিন নিয়ম করে মধ্যরাতে সেগুলিকে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসত আফতাব।
পুলিশ জানিয়েছে, আফতাবের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তা ঘেঁটেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।
অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে, এই ঘটনায় ‘ডেক্সটার’ নামক একটি টিভি শো দেখে সে খুনের ফন্দি আঁটে। সেখানে দেখানো হয়েছে, নায়ক একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অন্যদিকে একজন সতর্ক সিরিয়াল কিলার, দুটি সত্ত্বাই সে জীবনে সমান্তরালভাবে পালন করছে।
৬ মাস আগে লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন আফতাব। তার পর তাঁর দেহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুকরো টুকরো করে কাটেন। মোট ৩৫টি টুকরোয় ভাগ করা হয় শ্রদ্ধার দেহ। নতুন ফ্রিজ কিনে তাতে প্রেমিকার দেহাংশ তিনি রেখে দিয়েছিলেন। প্যাকেট করে ভালো করে মুড়ে দিয়েছিলেন টুকরোগুলি।
মধ্যরাতে ফ্রিজের মধ্যে রাখা শ্রদ্ধার কাটা মাথা বের করে দেখতেন তিনি। পুলিশের কাছে নিজেই তা স্বীকার করে নিয়েছেন আফতাব। মঙ্গলবার তদন্তের স্বার্থে তাঁকে দিল্লি-গুরগাঁও এক্সপ্রেসওয়ের উপর সেই জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কোথায় কী ভাবে দেহাংশ তিনি ছড়িয়ে দিতেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জঙ্গল থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে সেটি শ্রদ্ধার কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি পুলিশ।