পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মোট ৬ জনকে মুক্তির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। রাজীব হত্যার সপ্তম অভিযুক্ত পেরারিভেলানকে ইতিমধ্যেই চলতি বছরের মে মাসেই জামিনে মুক্তি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
অভিযুক্ত এই ছয় জনের মধ্যে রয়েছেন , নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। প্রায় ৩২ বছর কারাদণ্ড থাকার পর তাঁদের মুক্তি দিল শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, রাজীব হত্যাকাণ্ড মামলায় তাদের সকল কেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এদিন আদালতের পক্ষে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনও মামলা না থাকলে, তাদের মুক্তি দেওয়া হক।
সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে দোষীদের মুক্তির আবেদনে সাড়া দিচ্ছেন না রাজ্যপাল। সেই জন্য আদালতকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত পেরারিভালনের মুক্তির নির্দেশ বাকিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলেই জানিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে ১৯৯১ সালের ২১ মে এক আত্মঘাতী হামলাকারীর বোমা হামলায় রাজীব গান্ধি নিহত হন। বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজীব গান্ধি সহ আরও ১৮ জন জনের মৃত্যু হয়।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৪১ জন অভিযুক্ত ছিলেন। তারমধ্যে ১২ জন মারা গিয়েছিলেন। ৩ জনের মত নিরুদ্দেশ ছিল। বাকি ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
অভিযুক্তদের মধ্যে ভারতীয় দের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার নাগরিকরাও ছিলেন। প্রথমেই টাডা আইনে শুরু হয়েছিল বিচার। ৭ বছর ধরে চলছিল মামলা। ১৯৯৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২৬ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় টাডা আদালত।
যেহেতু টাডা আদালতের রায় হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা যেত না। তাই দোষীরা সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হন। প্রায় এক বছর বাদে মামলার রায় বদলে দেয় শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর ১৯ অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়। সেই হত্যা কাণ্ডে জড়িত আরও ৭ জন অভিযুক্তর মৃত্যু দণ্ডের নির্দেশ বহাল থাকলেও, পরে সেটা কমে গিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপরই ১১ নভেম্বর ২০২২ সালে ভারতের শীর্ষ আদালত ৬ জনকে এই মামলায় সাজা মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে।