পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ‘সিং ইজ কিং’ মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান পদ্ম নেতা নীতিন গড়করি। ‘ড. মনমোহন সিংয়ের কাছে গোটা দেশ ঋণী’।
না, কোনও কংগ্রেস নেতা নয়, কোনও অ-বিজেপি দলের নেতাও নয়, বিজেপির প্রবীণ নেতা নীতিন গড়করির মুখ থেকে এই কথা শুনে অনেকেই অবাক হয়েছেন।
বিরোধীরা বলছে, বিজেপি নেতা হয়েও প্রকাশ্যে ‘হক’ কথাটাই বলেছেন গড়করি। প্রকাশ্যে এই ‘সৎ সাহস’ দেখানোর জন্য গড়করির প্রশংসা করেছে কংগ্রেসও। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দেশের অর্থনীতিতে ড. মনোমহন সিংয়ের অবদান কখনও পুরোপুরি স্বীকার করেননি। কিন্তু বিজেপিরই এক শীর্ষস্তরীয় নেতা মনমোহনজির অবদান প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন।
আশা করব, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এবার বিষয়টি হজম হবে। আর এক কংগ্রেস নেতা বলেছেন, নীতীন গড়করি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের রাজনীতি এতটা তিক্ত হত না। মঙ্গলবার একটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ‘উদার অর্থনীতি’ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গড়করি।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও জাহাজ মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সালে আর্থিক সংস্কারের জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে দেশ ঋণী থাকবে। উদার অর্থনীতি কৃষক এবং গরিবদের জন্যই ছিল। ‘এই উদার অর্থনীতির কারণে চিনও এত উন্নতি করছে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে কেন্দ্রে নরসিমা রাও সরকারের জমানায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন ড. মনমোহন সিং। সেই সময় খাদের কিনারায় চলে যাওয়া অর্থনীতিকে তুলে আনার পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন অর্থনীতি বিশারদ মনমোহন সিং। তাঁর উদার সংস্কার নীতি দেশকে আর্থিক ক্ষেত্রে নয়া দিশা দিয়েছিল।
যা নিয়ে এ দিন নীতীন গড়করি বলেন, ‘তাঁর উদার অর্থনীতির কারণে দেশ নয়া দিশা পেয়েছিল। এই কারণেই ড. মনমোহন সিংয়ের কাছে দেশ সর্বদা ঋণী থাকবে।’ গড়করির আরও দাবি, নয়ের দশকে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি সড়ক নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন শুধুমাত্র এই উদার অর্থনীতির কারণে। যে নীতি প্রণয়ন করেছিলেন মনমোহন সিং-ই।