পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লি আবগারি মামলায় এবার গ্রেফতার হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ডিরেক্টর শরথ রেড্ডি। বুধবারই ইডি দিল্লির বাতিল হওয়া আবগারি নীতিতে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ধৃত শরথ রেড্ডি অরবিন্দ ফার্মার ডিরেক্টর। আবগারি দুর্নীতিতে বিনয় বাবু নামক আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনকেই আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইডি সূত্রে।
ফলে আবগারি কাণ্ডে গুজরাত নির্বাচনের আগেই বেশ চাপের মুখে আপ।
এদিকে ইতিমধ্যেই নির্বাচনের আগেই মদ দিল্লির বিতর্কিত আবগারি আইন ও সেই সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপ মামলায় হায়দরাবাদের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ডিরেক্টরের বাড়িতে সম্প্রতিই তল্লাশি চালানো হয়। তাকে দুবার কেন্দ্রীয় আধিকারিক সংস্থার কর্মীদের সামনে বসতে দেওয়া হয়। তার পরেই ইডি শরথ রেড্ডি ও বিনয় বাবু নামক দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার। ইতিমধ্যেই একাধিকবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেন ইডির আধিকারিকরা। গত আগস্ট মাসে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশে বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলা দায়ের করে সিবিআই।
বেআইনি আর্থিক লেনদেন ও ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ীকে আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে। মামলার তদন্তে মণীশ সিসোদিয়ার বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। গত সেপ্টেম্বরে ইন্দোস্পিরিট নামক একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সমীর মহান্দ্রুকে গ্রেফতার করা হয়। ১১ জন আবগারি আধিকারিককেও সাসপেন্ড করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর নতুন আবগারি নীতি আনে দিল্লি সরকার। মদ কেনার পাশাপাশি বিক্রির পদ্ধতিতেও বেশ কিছু বদল আনা হয়। কেজরি সরকার চেয়েছিল, নতুন করে ৮৪৯টি মদের দোকান খোলা হবে। রাজধানীর ৩২টি অঞ্চলে এই মদের দোকান খোলার পরিকল্পনা ছিল। নতুন আবগারি নীতি চালুর ঠিক ৮ মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়। বলা হয়, নতুন নীতিতে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। নতুন ৬৪৪টি মদের দোকান খোলা হলেও শেষমেশ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পেরে লাইসেন্স ফিরিয়ে দিতে শুরু করেন। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরকার পুরনো আবগারি নীততে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারে প্রতিনিধি তথা লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয়কুমার সাক্সেনা সরকারের এই নতুন নীতিতে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই মামলারই তদন্ত করছে সিবিআই।