পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: দেশে সাংবাদিকদের স্বাধীন মতপ্রকাশকে দমনের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। বিরুদ্ধমতকে দেশদ্রোহিতার আখ্যা দেওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে এই সরকারের আমলে।
এমনকী বিরোধীদেরকে পেগাসাসের মাধ্যমে নজরদারি করার অভিযোগও উঠেছে। উঠেছে খ্রিস্টান ও মুসলিম-সহ দেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ। আমেরিকা-সহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলি বারবার মোদি সরকারকে এ নিয়ে সতর্ক করেছে। তবে ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ’ বিষয় নিয়ে বাইরের কাউকে মাথা ঘামাতে দিতে নারাজ বিজেপি সরকার।
এই আবহে রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার জেনেভায় বসছে রাষ্ট্রসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের বৈঠক। আর তাতে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্বকারী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষায় ভারত ইউএনএইচআরসি ও অন্যান্য দেশের পাশে আছে।
তবে এই বৈঠকে আমেরিকা, বেলজিয়াম, জার্মানি, স্পেনের মতো দেশগুলি ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, বিদ্বেষ ভাষণ ও কর্নাটকের হিজাব ইস্যু নিয়ে সরব হবে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ করে কর্নাটকের হিজাব ইস্যুতে যেভাবে নারীদের শিক্ষার অধিকারকে লঙ্ঘন করা হয়েছে, তা মেনে নিতে পারছে না এই দেশগুলি। এ ব্যাপারে মেহতার কাছ থেকে তারা সরাসরি কিছু শুনতে চায় বলে সূত্রের খবর।
এ ছাড়া সিএএ-তে যেভাবে মুসলিমদের আইনের বাইরে রাখা হয়েছে, তা নিয়েও চটেছে গণতান্ত্রিক দেশগুলি। এর পাশাপাশি দেশজুড়ে বিদ্বেষ ভাষণের ফোয়ারা ছুটেছে। যার মূল শিকার মুসলিমরা। এ নিয়েও প্রশ্নবাণ সামলাতে হবে আইনজীবী মেহতাকে।
২০১৭ সালে শেষবার এ ধরনের রিভিউ মিটিং হয়েছিল। তারপর ভারত ও বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু ঘটনা ঘটে গিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের নেতৃত্বে সেসবের চুলচেরা বিশ্লেষণ ও সমালোচনা হবে বলে ওয়াকিফহাল মহল মনে করছে।