পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: এই ২ বছরে কম বেশি সকলেই খেয়াল করেছেন, তাদের মানি ব্যাগে ধূসর রং উঁকি দিলেও ক্রমশ কমছে গোলাপীর আভা। বাজারে নতুন ৫০০ টাকা নোটের রমরমা থাকলেও ক্রমশ কমে আসছে ২০০০ টাকার নোট। ৮ নভেম্বর ২০১৬ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন নোটবন্দির কথা। সেদিনই রাত ১২ টা থেকে বাতিল হয়ে যায় ৫০০ ও ১০০০ টাকার সব নোট। পরের দিন থেকেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে জমা করতে হয় পুরোনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট।
নকল নোটের রমরমা ও ‘কালাধন’ ফেরৎ আনার নামে এই উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী। ক্যাশলেশ ভাবনাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপক চেষ্টা করে সরকার। অথচ নোটবন্দির ৬ বছর পরেও নগদ টাকার উপর নির্ভরতা বিন্দুমাত্রও কমেনি। উল্টে বাজারে কমে এসেছে ২০০০ টাকার গোলাপি নোট। নোটবন্দির সময় ভারতের মোট টাকার ৮৬ শতাংশ জুড়ে ছিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। এরপর মার্চ ২০১৯ এ আরবিআই মোট ৩২৯.১০ কোটি টাকার গোলাপি নোট (২ হাজার টাকার নোট) ছাপে। একবছর পর ২ হাজার টাকার নোটে আরও ঘাটতি দেখা যায়। কারণ মার্চ ২০২০ তে মোট ২৭৩.৯৮ কোটি টাকা মূল্যের ২ হাজার টাকার নোট ছেপেছিল আরবিআই। ২০২১ ও ২০২২ সালে ২০০০ টাকার কোনো নোট ছাপেনি আরবিআই, ফলে নির্ভরতা বেড়েছে ৫০০ টাকার নোটের উপর।
২০২০ এর পর ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয় ২০০০ এর নোটের সংখ্যা কমানোর জন্য। সেইমত এটিএম থেকেও কম পাওয়া যাচ্ছিল ২ হাজারের নোট। একই ঘটনা হয় ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও। নকল নোট আর দূর্নীতি কমাতেই আপাতত ২ হাজার টাকার নোটের উপর নির্ভরতা কমাচ্ছে আরবিআই। অমিল হচ্ছে ২০০০ এর গোলাপি নোট।