বিশেষ প্রতিবেদন: যুদ্ধ হচ্ছে, মানুষ মরছে, আর তাতেই লাভ হচ্ছে আমেরিকার। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে ব্যাপক হারে। ইউরোপীয় দেশগুলো আমেরিকা থেকে ২৩ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চলেছে। সুইডেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর তথ্যমতে- ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ তাদের চাহিদার ৫০ ভাগের বেশি অস্ত্র আমেরিকা থেকে কিনেছে। এরমধ্যে নরওয়ে তার মোট অস্ত্রের ৮৩ ভাগ আমেরিকা থেকে কিনেছে, ব্রিটেন ৭৭ ভাগ, ইতালি ৭২ ভাগ এবং নেদারল্যান্ড কিনেছে ৯৫ ভাগ। আগের পাঁচ বছরের তুলনায় ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে ইউরোপের দেশগুলো আমেরিকা থেকে শতকরা ১৯ ভাগ বেশি অস্ত্র কিনেছে। সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান রিফর্ম-এর বিদেশনীতি বিষয়ক পরিচালক ইয়ান বন্ড বলেন, ‘শীতল যুদ্ধ অবসানের পর এটি নিশ্চিতভাবে প্রতিরক্ষা খাতে ইউরোপের অনেক বেশি ব্যয় বৃদ্ধির ঘটনা।’ ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগের ইইউ দেশগুলো আমেরিকা থেকে অস্ত্র কেনা বাড়িয়েছে এবং তারা নতুন করে ২৩ হাজার কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র কিনবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে শুধু জার্মানি একাই তার সামরিক সরঞ্জাম আধুনিকায়নের জন্য আমেরিকা থেকে ১০ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র কিনবে। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যে ২০ হাজার ১০০ কোটি ডলারের মোট অস্ত্র বিক্রি হয়েছে তার শতকরা ৩৯ ভাগ আমেরিকা একাই বিক্রি করেছে। অস্ত্র বিক্রি খাতে বিশ্বের সব দেশের চেয়ে এগিয়ে আমেরিকা। তবে ইউরোপে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে আমেরিকা সব খাতে এগিয়ে নেই। ইউরোপের দেশগুলো ট্যাঙ্কের জন্য জার্মানির উপর বেশি নির্ভর করে, গোলাবারুদের জন্য ফ্রান্স এবং সাবমেরিনের জন্য জার্মানি, ফ্রান্স অথবা ব্রিটেনের ওপর নির্ভর করে। ইউরোপের দেশগুলো আমেরিকা থেকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে।