পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বের ৫০টি দেশ চিনের প্রতি রাষ্ট্রসংঘের মানবাকিার কমিশনের ‘উইঘুর সুপারিশ’ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে। মানবাধিকার কমিটির বৈঠকে দেশগুলো এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে। সুপারিশগুলো মানবাধিকার কমিশন গত ৩১ আগস্ট এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছিল। তবে চিন শুরু থেকেই সুপারিশগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে।
শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৫০টি দেশ। মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বিবৃতিতে সই করা দেশগুলো চিনের কাজকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং চিনকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বলা হয়েছে; ‘আমরা চিনের মানবাধি কার পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। বিশেষ করে সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুরদের বিরুদ্ধে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে; তা উদ্বেগজনক।’ ৫০ দেশের মধ্যে আমেরিকা; ব্রিটেন জাপান; জার্মানি; অস্ট্রেলিয়া; ইসরাইল; তুরস্ক; গুয়াতেমালা এবং সোমালিয়া রয়েছে।
এর আগে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে উইঘুর নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা হলেও তা ভোটাভুটিতে পাস হয়নি। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার কমিটিতে নয়া বিবৃতিটি পড়ে শোনান রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত কানাডার দূত। ৫০টি দেশের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে; চিন যেন রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট মেনে নেয় এবং আটক উইঘুরদের মুক্তি দেয়। বেজিং অবশ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত সপ্তাহে রিপোর্টটি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রসংঘের এক বৈঠকে বসেছিলেন বিভিন্ন দেশের দূত; উইঘুরকর্মী এবং বিশেষ তদন্তকারীরা। সেই বৈঠক চিন বয়কট করে। তাদের অভিযোগ ছিল; এটা চিন-বিরোধী একটা প্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়। চিন অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলোকে চিঠি দিয়ে বলেছে; ওই বৈঠক ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে উদ্দেশ্যপ্রােদিত ঘটনা। বেজিংয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে।