পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইসরাইলের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। ইসরাইলের প্রাধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট পদত্যাগ করার পর ৩ বছরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন হচ্ছে দেশটিতে। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় এবং চলেছে রাত ১০টা পর্যন্ত।
ইসরাইলের শীর্ষনেতারা সব মানুষকে তাদের ভোটাকিার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। বিরোধী দলীয় নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্যুইটারে বলেছেন; ‘ভোট দিতে যান’। তবে চার বছরের কম সময়ের মধ্যে ৫ম বারের জন্য একটি নতুন সংসদ নির্বাচন করতে এবার সবার চোখ ফিলিস্তিনি ভোটারদের দিকে। ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠনে ব্যর্থ হন দেশটির রাজনীতিবিদরা। ফলে একটি দীর্ঘ রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে ইসরাইল।
গত কয়েক সপ্তাহের সমীক্ষা থেকে বোঝা যায়; ইসরাইলে বসবাসকারী ১৮ লক্ষ ফিলিস্তিনি ভোটারের উপস্থিতি এবার ‘ঐতিহাসিকভাবে কম হবে’। যদিও ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদরা জোর দিয়ে বলেছেন; এই সম্প্রদায়ের ভোটই প্রাক্তন প্রাধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে পুনরায় ক্ষমতায় আসা থেকে আটকাতে পারে। ফিলিস্তিনের কোনও দল সংসদে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোট নিশ্চিতভাবে পাবে কি না; তা স্পষ্ট নয়।
২ বছরের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর গতবছরের জুনে; ডানপন্থী ইসরাইলি রাজনীতিবিদ নাফতালি বেনেট ম্যপন্থী ইয়াইর লাপিদের সঙ্গে একটি জোট চুক্তি করে প্রাধানমন্ত্রী হন। এটি লিকুদ নেতা নেতানিয়াহুর রেকর্ড ১২ বছরের শাসনের অবসান ঘটায়। আড়াই সপ্তাহ পরে; তাদের ভঙ্গুর জোট আরও ভেঙে যায়।
ফলে লাপিদ বেনেটের কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রাধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন এবং নয়া নির্বাচন র্নিধারিত হয়। ২০০৯ সাল থেকে টানা ৩ মেয়াদে ইসরাইলের ক্ষমতায় ছিলেন নেতানিয়াহু। শেষ চার নির্বাচনেও সর্বোচ্চ আসন পেয়েছিল তার লিকুদ পার্টি। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেননি তিনি। ইসরাইলে ক্ষমতায় যেতে হলে ১২০ আসনের নেসেটে কমপক্ষে ৬১টি আসন দখলে নিতে হবে কোনও দলকে।