রাষ্ট্রসংঘ জানায়, গত ১৬ বছরের মধ্যে ২০২২ সালে পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনার হামলায় সবচেয়ে বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে।
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। রবিবার মধ্যরাতেও মারা গেছে এক ফিলিস্তিনি তরুণ। রাষ্ট্রসংঘের তথ্যমতে, গত ১৬ বছরের মধ্যে চলতি বছরই ইসরাইলি হামলায় পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি মানুষ হতাহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ যায় আরও এক ফিলিস্তিনির। ১৯ বছর বয়সী সালাহ আল ব্রাইকির ঘাড়ে গুলি লাগে। কিছুক্ষণ পরই মারা যায় সে। জেনিন শহরে ইসরাইলি অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে আরও তিন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার জেরে পশ্চিম তীরের জেনিন ও নাবলুসে গত এক বছর ধরে ইসরাইলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত চলছে। দুই শহরে আটক ও উচ্ছেদ অভিযান এবং হত্যাকাণ্ড জোরদার করেছে ইসরাইল। তাদের প্রতিহত করতে লড়াই করছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। এদিকে ইসরাইলের এক সেনা চৌকিতে হামলার পর গত ১০দিন ধরে নাবলুস শহর অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরাইল। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে ৪ লক্ষ ২০ হাজার ফিলিস্তিনির জনজীবন। চৌকিতে হামলাকারীকে খুঁজতেই দখলদার বাহিনীর এ অবরোধ। সাধারণ মানুষের জীবন ও অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, গত ১০ মাসে ইসরাইলি হামলায় ১৭৫জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ১২৪ জন পশ্চিম তীরে ও ৫১ জন গাজা উপত্যকায় নিহত হন। নিহতদের অর্ধেক জেনিন ও নাবলুসের বাসিন্দা। নিহত হয়েছে ৪১শিশুও। তাদের মধ্যে ১৭ জন নিহত হয় আগস্টে ইসরাইলের চালানো তিন দিনের নৃশংশতায়। এদিকে, বৃহস্পতিবার লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে সাধারণ ধর্মঘট পালন করে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাজারঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে যায় সবকিছু। ২২ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি তামিমির হত্যার প্রতিবাদে এ ধর্মঘট ডাকা হয়। ইসরাইলের অভিযোগ, ৮ই অক্টোবর নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালিয়ে এক ইসরাইলি সৈন্যকে হত্যা করে তামিমি। এরপর ১২দিন ধরে অভিযান চালিয়ে তামিমিকে খুঁজে বের হত্যা করে যায়নবাদী সেনা।