পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: সম্প্রতি কেরলে কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে দুই মহিলাকে বলি দেওয়ার ঘটনা নাড়া দিয়েছে গোটা দেশকে। একদিকে মঙ্গলের মাটিতে পা রাখার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে ফেলেছে ভারত। অন্যদিকে, ধন-সম্পদ অর্জনের ব্যর্থ চেষ্টায় জলজ্যান্ত মানুষকে বলি দেওয়ার মানসিকতা দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজন কড়া আইনের। এই আইনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে কেরল যুক্তিবাদী সংঘমের পক্ষ থেকে কেরল হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
খুব শীঘ্রই ওই আবেদনটির শুনানি করবে প্রধান বিচারপতি এস মনিকুমারের একটি বেঞ্চ। তাঁদের আবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার যেন স্টেট ল রিফর্ম কমিশনের সুপারিশ মেনে কুপ্রথা, জাদুবিদ্যা এবং ‘কালা জাদু’ রোধ করার জন্য আইন প্রনয়ণ করে। ওই পিটিশনে কুসংস্কার নির্মূলের লক্ষ্যে অনেকগুলি পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে। যেমন, সেখানে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে ২০১৩ সালে পাশ হওয়া কুসংস্কার বিরোধী বিলের মত করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গোটা দেশে এই ধরণের আইন প্রনয়ণের ব্যবস্থা করতে পারে। এছাড়া কেরলে গত ৫০ বছরে যারা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের মামলাগুলি খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের কথাও বলেছেন তাঁরা।
এছাড়া বিচারপতি কে টি থমাস কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করে কুসংস্কার বিরোধী আইন বলবৎ করারও আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এই সব কিছুর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় কুসংস্কারপূর্ণ বিজ্ঞাপন বন্ধ করা, যেসব সিরিয়াল বা সিনেমা জাদুবিদ্যার প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখছে, সেগুলি বন্ধ করারও আবেদন করা হয়েছে । এছাড়া কেরলের জাদুবিদ্যা কেন্দ্র গুলির বিরুদ্ধে তদন্ত করে সেগুলি বন্ধ করারও আবেদন জানানো হয়েছে ওই পিটিশনে। এই বিষয়ে হাইকোর্ট পদক্ষেপ নিলে নরবলি সহ অন্যান্য ক্ষতিকারক কুসংস্কারমূলক কাজকর্ম আটকানো সম্ভব হবে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।