পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হওয়া দুই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, কেরলের তিরুভাল্লায় ওই দুই মহিলাকে বলি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই মলিাকে এর্নাকুলাম থেকে অপহরণ করে তিরুভাল্লায় হত্যা করা হয়। এটা নর বলির ঘটনা হতে পারে। নিহত দুই মহিলার নাম পদ্মা ও রোজলিন।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষীদের ছাড়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, মানব বলির মতো এই ধরনের কু-প্রথার বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে হবে। সভ্য সমাজে এই ধরনের কালাজাদু চলতে পারে না।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৬ সেপ্টেম্বর কদব্যন্তর এলাকা থেকে হটাৎ নিখোঁজ হন পদ্মা। তা নিয়ে নিখোঁজ মামলাও দায়ের হয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, এই একইভাবে রোজলিনকে জুন মাসে কালাদি থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।
তাঁকে নিয়েও একটি নিখোঁজ মামলা হয়। পুলিশের অনুমান, ‘নরবলি’-র অংশ হিসেবে তাদের গলা কেটে ফেলা হয়েছিল। মৃতদেহগুলি টুকরো টুকরো করে মাটিতে পোঁতা হয়েছিল। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানা যাবে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে যাতটুকু জানতে পেরেছে তা হল, পরিবারের আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে ওই দুই মহিলাকে নরবলি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে এক দম্পতি সহ আর একজন গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতি ভগবন্ত সিং ও তার স্ত্রী লায়লা মেসেজ থেরাপিস্ট।
এই কাজে তাদের সাহায্য করেছিল মুহাম্মদ সাফি এক প্রতিবেশীও। এই সাফিই এর্নাকুলামের দুই মহিলাকে অপহরণ করেছিল।
কোচি শহরের পুলিশ কমিশনার নাগারাজু চাকিলাম জানান, ‘‘দুই মহিলাকে খুন করে তাদের বাড়ির পাশে দাফন করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডটি ভগবানের ‘সন্তুষ্টিতে’ আচরিত প্রথা নরবলির অংশ। আমাদের কাছে তথ্য আছে যে, এই ধরনের আরও একটি ঘটনা ঘটেছে।
আমরা পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলায় অনেক স্তর রয়েছে। আমরা এখন অভিযুক্তদের থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করছি। মৃতদেহগুলি ফের মাটি খুঁড়ে তোলা হয়েছে। এই মানব বলির সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয় জড়িত। এই নরবলির নেপথ্যে থাকা এক এজেন্টকেও অর্থ দেওয়া হয়েছিল। আমরা মনে করছি এই খুনের ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত।’’