পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল উড়ন্ত বাইকের কথা, এবার এসে গেল দুই আসন বিশিষ্ট উড়ন্ত ট্যাক্সি। যা যানজট ও দূষণ থেকে মুক্তি দেবে সাধারণ মানুষকে। এই উড়ন্ত গাড়ি বা উড়ন্ত ট্যাক্সি তৈরি করেছে চিনের একটি ইলেক্ট্রনিক গাড়ির কোম্পানি এক্সপেং। যার প্রথম উড়ান ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে দুবাই থেকে।
এই উড়ন্ত গাড়ির নাম দেওয়া হয়েছে এক্স-২। এতে রয়েছে আটটি প্রপেলার। দুইটি করে প্রতি কোণে রয়েছে এই প্রপেলারগুলি। দুই আসন বিশিষ্ট এই যানটি মাটি থেকে সোজা ভাবে (হেলিকপ্টারের মতো) টেক অফ করে সেই ভাবে মাটিতে অবতরণ করবে।
সংশ্লিষ্ট কোম্পানিটি আন্তর্জাতিক বাজারে বৈদ্যুতিক বিমান তৈরির জন্য কাজ করছে। সোমবার দুবাইতে এই উড়ন্ত গাড়ির ট্রায়াল রান সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রায় ৯০ মিনিট ধরে পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে ওড়ে উড়ন্ত ট্যাক্সিটি। সংস্থার নির্মাতারা এই উড়ন্ত গাড়িকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে এই ট্যাক্সি।
এক্সপেং এরোহট জেনারেল ম্যানেজার মিনাগুয়ান কিউ জানিয়েছেন, আমাদের সংস্থার তৈরি এই উড়ন্ত গাড়ির প্রথম উড়ান হিসেবে আমরা দুবাই শহরকে বেছে নিয়েছিলাম। কারণ দুবাই হল বিশ্বের প্রথম উদ্ভাবনী শহর। যানযটের ঝামেলা থেকে পরিত্রাণের কথা মাথায় রেখেই এই উড়ন্ত ট্যাক্সির পরিকল্পনা করা হয়েছে। উড়ন্ত ট্যক্সিটিতে দুটি আসন রয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে গাড়িটি।
উল্লেখ্য, অনেক কোম্পানি এই উড়ন্ত ট্যাক্সির তৈরির দৌড়ে আছে। তবে প্রথম কৃতিত্ব জিতে নিল চিনা গাড়িপ্রস্তুতকারী কোম্পানি এক্সপেং। এই উড়ন্ত ট্যাক্সি বা গাড়ি ওড়ার সাক্ষী থাকল দুবাইয়ের চিনা দূতাবাস ও সহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রায় ১৫০ জন প্রতিনিধি। উড়ান সম্বলিত কিছু নির্দিষ্ট অপারেশন ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং দুবাই সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইং পারমিট অর্জন করার পরে উড়ন্ত যানটি প্রথম জনসাধারণের সামনে তার উড়ান সম্পূর্ণ করল।
দুবাইয়ে এই উড়ন্ত গাড়িটির পরীক্ষণের সময় চালকের আসনে কেউ ছিল না। তবে চিনা সংস্থা দাবি করে, কয়েক মাস আগে চালক সমেত এই গাড়ির পরীক্ষণ হয়। এই যানটিতে আটটি প্রপেলর রয়েছে। এটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিমি বা ৮০ মাইল বেগে ছুটতে পারবে। তবে এই যান চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যাও রয়েছে। এয়ার ট্রাফিকের নিয়ম থেকে শুরু করে ব্যাটারির আয়ু নিয়ে আরও চিন্তাভাবনা চালানো হচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালের জুলাই মাসে একটি মনুষ্যবাহী ফ্লাইট পরীক্ষা চালিয়েছিল বলে জানায় সংস্থাটি। যানটির ওজন কমানোর জন্য সম্পূর্ণ ফাইবার কাঠামো ব্যবহার করা হয়েছে।
দুই আসনের উড়ন্ত গাড়িটি উড়ানের সময় কোনো কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে না। চিকিৎসা পরিষেবার জন্য এই উড়ন্ত ট্যাক্সি অধিক কার্যকরী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।