পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক : তাঁদের দৃষ্টি ছিল না, কিন্তু স্পষ্ট লক্ষ্য ছিল জীবনের। কোথাও সামান্য কাটা ছেঁড়ায় বই বিমুখ হন অনেকে অথচ ওড়িশার দুই যুবক ১০০ শতাংশ অন্ধত্বকে না দেখার ভান করে গোটা দেশের মন জয় করলেন। তাদের একজন প্রাচুর্য প্রধান (২৫)। প্রথমবারের চেষ্টায় প্রাচুর্য ২০২০ সালের ওড়িশা সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় পাশ করেছেন। তাঁর র্যাঙ্ক ২৯২। বর্তমানে তিনি ওড়িশা মাইনিং কর্পোরেশনের অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন।
একই পরীক্ষায় প্রসন্ন কুমার পান্ডার র্যাঙ্ক ২৬৬। তিনিও সম্পূর্ণ অন্ধ। বর্তমানে নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। প্রাচুর্যও কটকের র্যাভেনশো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন। প্রাচুর্য শুধু পড়াশোনা নয় দাবা খেলাতেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে জিতেছেন রৌপ পদক। প্রাচুর্য জানিয়েছেন, তিনি বেশ অনুন্নত একটি জেলা থেকে উঠে এসেছেন। প্রাশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে তিনি নিজের জেলার জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন। সেই জেদ থেকেই আজকের সাফল্য।
প্রসন্ন জানিয়েছেন, তিনি যখন রেড ক্রস স্কুল ফর ব্লাইন্ডে সপ্তম শ্রেণীতে পড়তেন। তখন সেখানকার কালেক্টর ওই এলাকার প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের কেরিয়্যার কাউন্সেলিং এর জন্য কর্মশালার আয়োজন করেছিলেন। সেখানেই ওই কালেক্টরের সান্নিধ্যে আসেন তিনি। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই আজ তিনি রাজ্যের সিভিল সার্ভিসেস এর মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁদের এই সাফল্যে খুশি গোটা দেশ। দেশের প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের কাছে তাঁরা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।