পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: প্রথমে অপহরণ ; তারপর ৬ জন মিলে গণধর্ষণ; সেই গণধর্ষণের ঘটনা মোবাইলে বন্দি; আর তারপর সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িত ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দূর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন গোটা দেশ যখন নারী শক্তির পুজোয় ব্যস্ত, ঠিক তখনই অপরহণ করা হয় মধ্যপ্রদেশের ২০ বছরের এক যুবতীকে। এরপর তাঁর উপর চলে নারকীয় অত্যাচার। ওই যুবতীকে হুমকি দেওয়া হয়, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে তাঁর গণধর্ষণের ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়া হবে। সেই ভয়ে টানা ৪ দিন মুখ খোলেননি ওই নির্যাতিতা। এরপর তার ভাই এর মোবাইলে ভাইরাল হয়ে ওই ভিডিয়ো পৌঁছে যেতেই প্রতিবাদে ফেটে পড়েন নির্যাতিতা।
সাহায্য নেন পুলিশের। ১ অক্টোবরের ওই নারকীয় ঘটনার জন্য পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ জানান ৫ অক্টোবর। পুলিশ জানিয়েছে ওই ৬ অভিযুক্তের মধ্যে ২ জন নাবালক। রেওয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের তিনজনের বেআইনিভাবে তৈরি করা বাড়ি ভেঙে দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে ওই ৬ অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জনের নাম সীতারাম প্যাটেল (২০), রাজবাহাদুর যাদব (২১), সারতাজ আলি (১৮), বিমলেশ প্যাটেল (১৮)। অভিযুক্তদের মধ্যে ২ নাবালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট এর অধীনে। এনসিআরবি’র রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২১ সালে গোটা দেশে সব থেকে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশেই। ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ এর মত নারীর ক্ষমতায়নের জন্য হাজরো প্রকল্প গ্রহণ করার পরও কেন ‘ধর্ষণ সংস্কৃতি’ বন্ধ করা যাচ্ছে না, এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।