পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নীতি পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনির। আর এই মৃত্যুই আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে ইরানে। হিজাব পরা নিয়ে কঠোর আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। সেই প্রতিবাদ দমনও করা হচ্ছে কড়া হাতে। ইরান হিউম্যান রাইটস সংস্থা জানিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্হিতিতে সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেইনি বলেন, ইরানে ‘অশান্তি সৃষ্টির জন্য’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকেই দায়ী করেছেন।
মাহসার মৃত্যুর পর দেশ জুড়ে যে অশান্তি তৈরি হয়েছে, সেই সম্পর্কে এই প্রথম মুখ খুললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
মাহসা আমিনীর মৃত্যুকে “মর্মান্তিক ঘটনা” বলে এর বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তা সঠিক বলে মনে করেন না খামেইনি। তাঁর মতে এই ধরনের প্রতিক্রিয়া ‘পরিকল্পিত’ এবং ‘স্বাভাবিক নয়’। খামেইনি বলেন, তরুণীর মৃত্যু একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনা আমাদেরও ব্যথিত করেছে। কিন্তু কিছু লোকের জন্য নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করা, কুরআন, মসজিদ, ব্যাঙ্ক এবং জনগণের গাড়ি পোড়ানো, মহিলাদের হিজাব খুলে ফেলার এর সঠিক প্রতিক্রিয়া নয়। এগুলি স্বাভাবিক কাজ নয়। এগুলি পরিকল্পিত ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যু ইরানে কঠোর হিজাবের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে উসকে দিয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে ইরান জুড়ে হিজাবের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে উঠছে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহিলারাই। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ফেলে তাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আঁচ ইরান ছাড়িয়ে আফগানিস্তান, ফ্রান্সেও ছড়িয়ে পড়েছে।