পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ব্রিটিশ রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে অবনমিত করা হল প্রিন্স হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগানকে। সাসেক্সের ডিউক এবং ডাচেস, প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেলকে রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে ডিউক অফ ইয়র্কের সঙ্গে শেষ স্থানে অবনমিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলিতে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর গুঞ্জন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পর রাজপরিবারের উত্তরাধিকার ক্রমানুসার যে ওয়েবসাইট আপগ্রেড করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেলের নিচে রাজপরিবারের একমাত্র সদস্য হলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু।
২০২০ সালে, প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেল তাদের শিশু পুত্র আর্চি হ্যারিসনকে নিয়ে ব্রিটেন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দুজনেই আরও স্বাধীন জীবনযাপনের জন্য ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে আসেন। ব্রিটেন থেকে এই দম্পতির প্রস্থান “মেগক্সিট” নামে পরিচিত ছিল।
সিংহাসনে বসার পর ছেলে প্রিন্স হ্যারি ও পুত্রবধূ মেগান মার্কলেকে দূরে সরিয়ে দিলেন নতুন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। কেবল দূরেই না; তাকে স্থায়ীভাবে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে এমনটিই দাবি করা হচ্ছে। রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডকে সিংহাসনচ্যুত করার দৃষ্টান্তকেই তিনি সামনে নিয়ে আসছেন। (232)
ওয়ালিস সিম্পসন নামের বিয়ে বিচ্ছেদ করা এক নারীর প্রেমে পড়ে তাকে অষ্টম এডওয়ার্ডকে সিংহাসন ছাড়তে হয়েছিল। কারণ রাজপরিবারের নিয়ম ওই বিয়েকে সমর্থন করেনি। এটি ১৯৩৬ সালের ঘটনা। এরপর বাকি জীবন অষ্টম এডওয়ার্ড ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের বাইরেই কাটান। ঘটনা পরম্পরা বলছে সিম্পসন এবং মেগান দুজনেই কিন্তু মার্কিন নাগরিক।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ইংল্যান্ডে ১১ দিন কাটিয়েছেন হ্যারি ও মেগান। যদিও রাজপরিবারের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানা গেছে।