পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : গত এক বছরে প্রতিদিন আদানি আয় করেছেন ১৬০০ কোটি টাকা। সেখানে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি গত বছরে এক প্রতিদিন আয় করেছেন ২১০ কোটি টাকা। বর্তমানে আদানির মোট সম্পদ এখন মুকেশ আম্বানির ৭.৯৪ লক্ষ কোটি থেকে ৩ লক্ষ কোটি টাকা বেশি।
উল্লেখ্য, বুধবার প্রকাশিত আইআইএফএল ওয়েলথ হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২২ অনুসারে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী বিলিয়নেয়ার গৌতম আদানি গত বছরে তার সম্পদ দ্বিগুণ করেছেন। ১৬০০ কোটি টাকা প্রতিদিন আয় করে আদানি তার সম্পত্তি বাড়িয়েছেন ১০.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা। আদানির মোট সম্পদ এখন মুকেশ আম্বানির ৭.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ৩ লক্ষ কোটি টাকা বেশি।
হুরুন ইন্ডিয়ার প্রধান গবেষক, এমডি আনাস রহমান জুনায়েদ জানিয়েছেন, ২০১২ সালে আদানির সম্পদ আম্বানির সম্পদের প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ ছিল। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে তিনি আম্বানিকে টপকে ১০ বছরে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠবেন।
গত পাঁচ বছরে প্রথম প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের সম্পদ ১৪৪০ শতাংশ বেড়েছে। আদানি গোষ্ঠীর ৭টি পাবলিকলি ট্রেড ফার্মের সম্মিলিত বাজারমূল্য, যার সবকটিই শিল্পপতির নামে রয়েছে, গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আদানি তার কিছু ফার্মে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারের মালিক হওয়ায়, তিনি আদানি তালিকাভুক্ত স্টক জুড়ে কেনাকাটা থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন।
আনাস রহমান জুনায়েদ আরও জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহ বিভিন্ন কারণে সম্পত্তির পরিমাণ ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও বিগত ১০ বছরে রিলায়েন্স গোষ্ঠী প্রথমবারের মতো তার শীর্ষস্থান হারিয়েছে। তবে তার সম্পদের পরিমাণ ৭,৯৪,৭০০ কোটি টাকা এবং গত ৫ বছরে ১১৫ শতাংশ বেড়েছে।
আদানি ও মুকেশ আম্বানি এই দুই বিলিয়নেয়ারের মোট সম্পদ শীর্ষ ১০ তালিকায় পরবর্তী ৮ জন বিলিয়নেয়ারের সম্মিলিত সম্পদের থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।
আদানি ও আম্বানি, দুটি নামের ক্ষেত্রেই প্রথম আধ্যক্ষর হল ‘এ’। এই দুই বিলিয়নেয়ার ব্যবসায় নতুন বৈচিত্র্য তালিকার সকলের উপরে তারা নিজেদের নাম দুটি ধরে রেখেছেন।
গৌতম আদানির বড় ভাই বিনোদ শান্তিলাল আদানি একজন অনাবাসী ভারতীয়। তিনি এখন বিখ্যাত হিন্দুজাদের ছাড়িয়ে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।