পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আমেরিকার প্রাক্তন ও অভিজ্ঞ সেনা অফিসারদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সরকারি রিপোর্টের চেয়ে অনেক বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ২৪জন মার্কিন সেনা আত্মহত্যা করছে, যা মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্সের হিসাবের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেশি। শনিবার এই গবেষণাটি প্রকাশ করেছে অলাভজনক সংস্থা আমেরিকাস ওয়ার পার্টনারশিপ। গবেষণা বলছে, প্রত্যহ সরকারি হিসাবের চেয়ে ২০জন বেশি প্রাক্তন সেনা আত্মহত্যা করছে। উল্লেখ্য, স্ব-আঘাত জনিত কারণে মৃত্যুগুলিকে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করেছে ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স। সরকার বলছে, এই মৃত্যুগুলি হল দুর্ঘটনাবশত বা অনির্ধারিত। তবে আমেরিকাস ওয়ার পার্টনারশিপ বলছে, এ ধরনের মামলাগুলিতে ইচ্ছাকৃত ভাবেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। গবেষণাটি (২০১৪-২০১৮) আমেরিকাস ওয়ার পার্টনারশিপ সংস্থার সঙ্গে ৮ মার্কিন রাজ্যে সম্মিলিত ভাবে চালিয়েছে আলাবামা ও ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এতদিন সরকারি দফতর ভেটারেন্স অ্যাফেয়ার্স বলে এসেছে, (২০১৪-২০১৮) সময়কালের মধ্যে আমেরিকার প্রাক্তন সেনা অফিসারদের মধ্যে প্রতিদিন ১৭.৭টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। আমেরিকাস ওয়ার পার্টনারশিপের প্রেসিডেন্ট জিম লরেন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটা বিধ্বংসী। আমি শুধু নিজেই একজন অভিজ্ঞা সেনা নই, আমার ছেলে ও জামাই সেনায় রয়েছে। আমি এমন অনেক অভিজ্ঞা সেনাকর্মীকে চিনি যারা আত্মহত্যা করেছেন।’ আমেরিকাস ওয়ার পার্টনারশিপের মতে, সরকারি খাতায় আত্মহত্যার সংখ্যা কম থাকার কারণ হল মানুষের ভুল এবং মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে ত্রুটি। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ৩ বছরের কম চাকরি করা প্রাক্তন সৈন্যরা আত্মহত্যার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং যারা তাদের সামরিক কর্মজীবনের সময় পদাবনতির শিকার হয়েছিলেন তারা সাধারণভাবে প্রবীণ সৈন্যদের তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেশি হারে আত্মহত্যা করেন। প্রতি বছর সেনাবাহিনীতে অতিরিক্ত চাকরি আত্মহত্যার সম্ভাবনা প্রায় ২ শতাংশ কমিয়ে দেয়। সেনায় সব বিভাগের মধ্যে কোস্ট গার্ডের চাকরিতে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেন অভিজ্ঞ ও প্রবীণ কর্মীরা। আত্মহত্যার হারের দিক থেকে এরপরই রয়েছে মেরিন্স, আর্মি, নেভি ও এয়ার ফোর্স। তবে যেসকল প্রবীণ ও অভিজ্ঞ সেনাকর্মীর স্ত্রী রয়েছে তাদের আত্মহত্যা করার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ কম।