পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক; রুশ বাহিনী কিছু জায়গায় পিছু হটলেও ইউক্রেনে অভিযানের পরিকল্পনায় কোনও পরিবর্তন হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিয়েভ ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ অব্যাহত রাখলে কঠোর সামরিক অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এদিকে রুশ বাহিনী পিছু হটার পর খারকিভে অন্তত ১০টি টর্চার সেল পাওয়ার দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার একের পর এক রুশ মর্টার হামলায় কেঁপে ওঠে দোনেৎস্ক অঞ্চল। একই জায়গায় প্রায় ১০টি মর্টার হামলা চালানো হয় বলে জানান শহরটির মেয়র। এতে হতাহতের পাশাপাশি বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায় ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনা। সূত্রের খবর, দোনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণ নিতে সম্প্রতি ওই এলাকায় হামলা জোরদার করেছে ইউক্রেন বাহিনী। গত কয়েকদিন ধরে রাশিয়ার দখলে থাকা একের পর এক এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনা। গত ছয় দিনে খারকিভে আট হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা পুনর্দখলের দাবি করেছে কিয়েভ। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা টর্চার সেলে অনেক ধরনের জিনিস পেয়েছি। বেশকিছু বৈদ্যুতিক তার এবং যন্ত্রপাতিও রয়েছে। যেগুলো দিয়ে নিরীহদের নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা এত সহজে ছেড়ে দেব না। আদালতে এর উত্তর দিতে হবে।’
এদিকে রুশ বাহিনী পিছু হটলেও এতে মোটেও বিচলিত নন বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইউক্রেন অভিযান নিয়ে রাশিয়া কোনও তাড়াহুড়ো করছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিযানের পরিকল্পনায় কোনও পরিবর্তন আনা হবে না। একই সঙ্গে ইউক্রেনের নতুন নতুন এলাকায় হামলা জোরদারের ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। যদিও খারকিভে রুশ সেনার ব্যর্থতা নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের সামরিক কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, ইউক্রেনে দ্রুতই ব্যর্থ হবেন পুতিন। রাশিয়া দাবি করছে, তারা এখন ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ দখল করে রেখেছে, যার মধ্যে ক্রিমিয়া ছাড়াও দক্ষিণের জাপোরিঝিয়া ও খেরসন প্রদেশের বেশিরভাগ অংশ রয়েছে।