পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : স্কলার সাফুরা জারগারের প্রবেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করল জামিয়া মিলিয়া কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় সাফুরার এমফিল-এ ভর্তি বাতিল করে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাফুরা জারগার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন’।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সাফুরা জারগারের কর্মকাণ্ডকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সাফুরা এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ব্যবহার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাথায় রাজনৈতিক হিংসা ঢুকিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস চত্বরে মিটিং, মিছিল চালানো হয়েছে। কলেজের শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে।
বহিরাগত ছাত্রদের এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি নষ্ট করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত তৈরি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি বজায় রাখার জন্য, কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে’।
সম্প্রতি, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) বিশ্ববিদ্যালয় স্কলার ও প্রতিবাদী কর্মী সাফুরা জারগারের ভর্তি বাতিল করে। তার গবেষণামূলক কাজ ‘অসন্তোষজনক’ আখ্যা দিয়ে সাফুরার ভর্তি বাতিল করা হয়।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাফুরা জারগার এমফিল/ পিএসডি বিভাগে তার নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। এই নির্দেশ তার মন ভেঙে দিলেও তার আত্মাকে ভাঙতে পারেনি বলে জানিয়েছিলেন সাফুরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞানের ডিন-এর বিভাগ থেকে জানানো হয়, সাফুরা জারগার এমফিলের সর্বোচ্চ পাঁচটি সেমিস্টারের গবেষণাপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দেননি। সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা বিভাগের বোর্ড অফ স্টাডিজ দ্বারা অনুমোদিত হওয়ার পরে, গত ২২ আগস্ট সাফুরা জারগারের নাম এমফিল/পিএইচডি থেকে বাদ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার রির্সাস কাজ অসন্তোষজনক। সাফুরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মহিলা স্কলার হিসেবে তিনি তার গবেষণা পত্র পেশ করেননি।
উল্লেখ্য, সিএএ আন্দোলনের অন্যতম কর্মী জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার রিসার্চ স্কলার সাফুরা জারগারকে ২০২০ সালের ১০ এপ্রিল গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনে দিল্লি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করা হয়। পরে জামিয়ার গবেষক সাফুরা জারগারকে জামিনে মুক্তি দেয় আদালত।