পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় হয়েও কিছুক্ষণের মধ্যে তৃতীয় স্থানে চলে গেলেন ধনকুবের গৌতম আদানি। শুক্রবার বিশ্বের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ৬০ বছর বয়সী গৌতম আদানি।
বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি আমাজনের জেফ বেজোস ও ফরাসি ব্যবসায়ী বার্নার্ড আর্নল্টকেও টপকে দ্বিতীয় তালিকায় উঠে আসেন গৌতম আদানি। তবে কিছুক্ষণ পরেই তৃতীয় স্থানে চলে যান তিনি। আর দ্বিতীয় স্থান দখল নেন বার্নাড আর্নল্ট।
শুক্রবার তার উপরে থাকা দুই ধনকুবের অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোস এবং লুই ভিটনের বার্নার্ড আর্নল্টকেও ছাড়িয়ে কিছুক্ষণের জন্য দ্বিতীয় হওয়ার স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন আদানির গ্রুপের কর্ণধার। তার সামনে থাকে শুধুমাত্র ইলন মাস্ক। সামান্য সময়ের জন্য দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসলেও দ্রুতই বার্নার্ড আর্নল্টের অবস্থানের থেকে পিছিয়ে যান আদানি। তৃতীয় স্থান অধিকার করেন তিনি। আর শীর্ষ ধনীদের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি।
শুক্রবার দেখা যায় আদানির সম্পদের পরিমাণ ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতেই তিনি ছাড়িয়ে যান তার উপরে থাকা জেভ বেজস ও বার্নার্ডকে। এসময় আদানির মোট সম্পদ দাঁড়ায় ১৫৫.৫ বিলিয়ন ডলারে। যদিও পরেই তা কমে আসে। বর্তমানে সেটি রয়েছে ১৫২.৩ বিলিয়ন ডলার। অপরদিকে আদানির কাছে দ্বিতীয় স্থান হারিয়ে আবার অবস্থান ফেরত পাওয়া আর্নল্টের সম্পত্তি এখন ১৫৩.৭ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে থাকা জেফ বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৪৯.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৬০ বছরের আদানি হলেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। বন্দর, পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিষয়, তাপবিদ্যুৎ, আবাসনের মতো ক্ষেত্রে বিশাল বিনিয়োগ আছে আদানি গ্রুপের। মাসকয়েক আগেই সিমেন্ট ব্যবসায় প্রবেশ করেছে আদানি গ্রুপ। ১০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে সুইস সিমেন্ট সংস্থা হোলসিমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নেন। ভারতে হোলসিমের সিমেন্ট ব্যবসার অধিগ্রহণ করেন। গত ৫ বছরে আদানি এন্টারপ্রাইজ বিমানবন্দর, সিমেন্ট, তামা পরিশোধন, ডাটা সেন্টার, গ্রিন হাইড্রোজেন, পেট্রোকেমিকেল পরিশোধন, সড়ক ও সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণসহ দ্রুত বর্ধনশীল খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া আদানি কোম্পানির ভবিষ্যতে টেলিকম খাতে প্রবেশ এবং গ্রিন হাইড্রোজেন ও বিমানবন্দরের ব্যবসা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।