শুভায়ুর রহমান : বয়স মাত্র ২৫ বছর। নাম সেখ সামিম। বাবা-দাদুর পুরানো পেশাকেই সে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। হরবোলা বলতে— যে পশুপাখি বা অন্যান্য ডাককে নকল করতে পারে তাকেই বলা হয়। খুব ছোট বয়সেই পশুপাখির প্রতি আকর্ষণ ছিল প্রবল। সেই আকর্ষণ থেকেই পশুপাখির ডাক নকল করতে পারতেন। তখন তার বাবা সেখ নজরুল ইসলাম তাকে উৎসাহিত করেন। সেই থেকে তিনি রপ্ত করে ফেলেছেন বিভিন্ন ডাক বা আওয়াজ। বর্ধমানের মেমারির দুর্গাডাঙার যুবক শুধু পশুপাখি নয়– বিভিন্ন ইনস্ট্রুমেন্টের আওয়াজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আওয়াজ করতে পারেন। ২০১৫ সালের এক হরবোলা প্রতিযোগিতায় পশ্চিমবাংলার মধ্যে প্রথম ও বর্ধমানের মধ্যে প্রথম হন বলে জানান সেখ সামিম। তবে হরবোলা শিল্প উঠেই গেছে বলে আক্ষেপ করেন সামিম।
তার কথায়– হরবোলা উঠে গেছে। আগামী প্রজন্মের মাধ্যমে হরবোলাকে বাঁচাতে হরবোলা শেখাই। তানপুরা– হারমোনিয়াম শেখানোর মাস্টার পাওয়া যাবে কিন্তু হরবোলা শেখানোর মাস্টার পাওয়া যাবে না। সেখ সামিম বিভিন্ন জায়গায় তার শিল্পকর্ম প্রদর্শন করেছেন। প্রশংসাও পেয়েছেন। মঞ্চ পরিচালনার কাজেও পারদর্শিতা রয়েছে সামিমের। সামিম জানান– ছোটবেলায় খেলার সাথি ছিল না। পশুপাখির প্রতি আকৃষ্ট হই। একদিন ছাগল– কুকুরের ডাক দেওয়ার চেষ্টা করি। দেখি পারছি। বাবাকে সেটা বলি। বাবা বলেন– হরবোলাও একটা শিল্প। বাবা-দাদুও হরবোলা করতেন বলে জানান সামিম। হরবোলার কাজে সেখ সামিম প্রশংসা পেয়েছে।