পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : অ্যাসিড, বুক জ্বালা, মুখে টকভাব, বদ হজমের কারণে বমি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা বলেই মনে করা হয়। আর সেই সমস্যা সমাধানে মুড়ি-মিছড়ির মতো Rantac, Zinetac জাতীয় ওষুধ খেয়ে রোগী তার কষ্ট উপশম করে। কিন্তু এই ধরনের ওষুধগুলি মানবশরীরে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনকি এই ধরনের ওষুধ ক্যানসারের কারণ, এমনটাই উঠে এসেছে গবেষণায়। প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা থেকে এবার বাদ পড়ল র্যা নট্যাক, জিনট্যাক।
জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রেনিটিডিন-এর ওষুধ অ্যাসিলক, Rantac, Zinetac-এর বিপুল পরিমাণে বাজারে চাহিদা রয়েছে। এই ওষুধগুলি ক্যানসারের উদ্বেগের কারণ উঠছে বলে দাবি গবেষকদের। এই নিয়ে বিশ্বব্যাপি বিস্তর গবেষণা চলছে। এবার এই ওষুধগুলির ভারত থেকে বিলুপ্তির পথে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার জরুরি ওষুধের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে রেনিটিডিন ব্র্যান্ডের ওষুধ নিয়ে বিশ্বব্যাপি গবেষণা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়েছে ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেই গবেষণায় গবেষকরা এই ওষুধগুলির মধ্যে ক্যানসার সৃষ্টিকারী এন নাইট্রোসোডিমেথাইলামাইন খুঁজে পেয়েছেন।
জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহৃত ওষুধের তালিকা থেকে ২৬টি ওষুধকে বাদ দেওয়া হয়েছে। রেনিটিডিন ব্র্যান্ডের ওষুধগুলির মধ্যে অ্যাসিলক, Rantac, Zinetac। অ্যাসিডিটি, পেটব্যথা প্রভৃতির কারণে রোগীদের এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক মঙ্গলবার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা প্রকাশ করেছে। যে তালিকায় রয়েছে ৩৮৪টি ওষুধ। সেই তালিকা থেকে ২৬টি ওষুধকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার এই ওষুধগুলিকে আর দেশে পাওয়া যাবে না।
তালিকা থেকে বাদ পড়া ২৬টি ওষুধের নাম
১) Alteplase, ২) Atenolol
৩) Bleaching Powder ৪) Capreomycin, ৫) Cetrimide, ৬) Chlorpheniramine, ৭) Diloxanide furoate, ৮) Dimercaprol, ৯) Erythromycin, ১০)Ethinylestradiol, ১১) Ethinylestradiol(A) Norethisterone (B), ১২) Ganciclovir, ১৩) Kanamycin
১৪) Lamivudine (A) + Nevirapine (B) + Stavudine (C)
১৫) Leflunomide, ১৬) Methyldopa, ১৭) Nicotinamide
১৮) Pegylated interferon alfa 2a, Pegylated interferon alfa 2b, ১৯) Pentamidine
২০) Prilocaine (A) + Lignocaine (B), ২১) Procarbazine, ২২) Ranitidine
২৩) Rifabutin, ২৪) Stavudine (A) + Lamivudine (B) 25. Sucralfate, ২৬) White Petrolatum
ক্যানসার সম্পর্কিত উদ্বেগের জন্য সারা বিশ্বে রেনিটিডিন স্ক্যানারের অধীনে রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল এবং অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস) এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় স্টক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চালাচ্ছে।
১৯৮৮ সালে জিনট্যাক ছিল বিশ্বের প্রথম ওষুধগুলির মধ্যে একটি। যা সেই সময় বার্ষিক বিক্রি ছিল ১ বিলিয়ন।
এদিকে, নতুন প্রয়োজনীয় তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে বেশ কয়েকটি উচ্চ-চাহিদাযুক্ত ওষুধের দাম কমতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে ইনসুলিন গ্লার্জিনের মতো অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধ, ডেলামানিডের মতো যক্ষ্মা-বিরোধী ওষুধ এবং আইভারমেকটিন-এর মতো অ্যান্টিপ্যারাসাইট।