পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই পাখির চোখ ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। নিজেদের মত করে বিরোধী ঐক্যের বার্তা দিচ্ছে আঞ্চলিক দলগুলি। তবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলছেন, বিজেপির মত একটি শক্তিশালি দলকে উৎপাটিত করতে গেলে কংগ্রেসকে প্রয়োজন। যে যাই বলুক বিরোধী ঐক্যের মুখ সেই কংগ্রেস।তাই কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন এই মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের এই মুখপাত্র।কংগ্রেসকে ছাড়া যদি বিরোধী দলগুলি ভাবে তারা এই হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী , বিদ্বেষ রাজনীতির মদতদাতা বিজেপিকে কেন্দ্রের শাসন ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলবে তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।
রমেশ বলছেন কংগ্রেস ভারত জোড়া যাত্রা কেন করছে, তার পেছনে কয়েকটি কারণ আছে, প্রথমত শতবর্ষ প্রাচীন এই রাজনৈতিক দলটি যে এখনও ফুরিয়ে যায়নি তা ভারত জোড়ো যাত্রায় সাধারণ মানুষের স্বতস্ফূর্ত সাড়াই বুঝিয়ে দিচ্ছে। কংগ্রেস মুখপাত্র সাফ বলছেন “বিজেপি এবং আরএসএস আমাদের ভারত জোড়ো যাত্রাকে যতখুশি আক্রমণ করতে পারে, যা খুশি বলতেও পারে কংগ্রেসের আসল আক্রমনাত্বক চেহারাটা ওরা এখনও দেখেনি।’’
রমেশ আরও বলছেন বিরোধীদলের নেতৃত্বরাও বুঝবেন কংগ্রেস ফুরিয়ে যায়নি। তাই বিজেপি বিরোধী মুখ হয়ে উঠতে ২০২৪ এ যে দলটি মূল চালিকাশক্তি হতে পারে সেটি অবশ্যই কংগ্রেস।
তবে রমেশ এটাও মানছেন দলীয় সংগঠনে এখনও অনেক ফাঁকফোকর আছে। সাংবাদিকদের এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আরও বলছেন কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী ভারতজোড়ো যাত্রার ইতিমধ্যেই ১০২ কিলোমিটার পথ সম্পূর্ন।
তাঁর কথায় ভারত জোড়ো যাত্রা কিন্তু মোদির মন কি বাত নয়। যার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। কংগ্রেস কিন্তু জল মেপেই এগোচ্ছে।
উল্লেখ্য বিজেপির সঙ্গে জোট সম্পর্ক ছিন্ন করার পর নীতীশের জনতা দল ইউনাইটেড গাটছড়া বেঁধেছে আরজেডির সঙ্গে। তারপর একাধিক বার দিল্লি গিয়ে এনসিপি সহ একাধিক আঞ্চলিক দলের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। যদিও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী মুখে একাধিক বার বলেছেন তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোন বাসনা নেই। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের কথায় নীতীশ মুখে যাই বলুন না কেন তাঁর একাধিক বার দিল্লি যাত্রা কিন্তু অন্য বার্তাই দেয়। সবকিছু দেখে শুনেই জয়রাম রমেশ এই বার্তা দিলেন বলে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।