পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন তার দেশকে পরমাণু অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছেন। বলেন, তার দেশ কখনই প্রয়োজনীয় পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ত্যাগ করবে না। উত্তর কোরিয়াকে দুর্বল করার লক্ষ্যে আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে যে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে, তার মোকাবিলাতেই এ ঘোষণা দেয় পিয়ং ইয়ং। বৃহস্পতিবার সংসদে দেওয়া বক্তব্যে কিম বলেন, পার্লামেন্টে পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত বিশেষ একটি আইন পাস হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যদি উত্তর কোরিয়া কোনও আক্রমণের মুখে পড়ে, তাহলে জাতীয় সেনা শত্রুর বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলা চালানোর অনুমতি পাবে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানায়, আইনে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের নীতি অন্তর্ভুক্ত হবে। অন্যান্য দেশের সাথে পারমাণবিক অস্ত্র বা প্রযুক্তি ভাগাভাগিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে আইনটিতে। সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলিতে কিম আরও বলেন, পরমাণু অস্ত্র নীতি আইন প্রণয়নের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল, ‘এটি এমন একটি অপরিবর্তনীয় ব্যবস্থা, যাতে আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে কোনও দর কষাকষি না হয়।’
সম্প্রতি উ. কোরিয়ার ১৪তম সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির সপ্তম অধিবেশনে পরমাণু অস্ত্র নীতি শিরোনামে একটি আইন পাস হয়। এতে ১১টি অনুচ্ছেদ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের উদ্দেশ্য, পারমাণবিক বাহিনীর গঠন ও নিয়ন্ত্রণ, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্তের প্রয়োগ, তাদের ব্যবহারের নীতি, নিরাপদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সুরক্ষার মতো বিষয়। উল্লেখ্য, কিম জং উন সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকা এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে কোনও হুমকির মুখে উত্তর কোরিয়া সক্রিয়ভাবে তার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে। উ. কোরিয়াকে নিয়ে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা ২০১৯ সালেই হোঁচট খায়। এরপর পিয়ং ইয়ং তার পরমাণু কার্যক্রম অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিতভাবেই দেশটি নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে থাকে। আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া এ নিয়ে চাপে রয়েছে।