পুবের কলম প্রতিবেদক: বাইপাসের ধারে ধাপায় দীর্ঘদিন ধরে জমতে থাকা ময়লার স্তুপ সরিয়ে ফেলার কাজে উদ্যোগী হল কলকাতা পুরনিগম। চালু হল দুটি বিশেষ প্লান্ট। পুরনিগমের আশা– আগামী তিন বছরের মধ্যেই ধাপায় ময়লার পাহাড় আর থাকবে না। একদিকে যেমন দূষণ কমানো সম্ভব হবে– তেমনি বর্জ্য থেকে তৈরি হবে সার– সিমেন্ট ইত্যাদি।
সূত্রের খবর– ১৯৮৭ সাল থেকে ধাপায় বর্জ্য ফেলা হয়েছে– তার পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন। দীর্ঘদিন ধরে ময়লা বা বর্জ্য জমতে জমতে মাটি ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সেই দূষণ কমানোর জন্য ও স্তূপীকৃত বর্জ্য বা লেগ্যাসি ওয়েস্ট প্রক্রিয়াকরণের জন্য সমাধান বের করা হল। ফলে প্রায় তিন দশকের জমে থাকা বর্জ্যের পাহাড় কেটে ফেলা সম্ভব হবে।
শুক্রবার দুপুরে কলকাতা পুরনিগমের তরফে দু’টি প্লান্টের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহণন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ– দেবব্রত মজুমদার– দেবাশিস কুমার প্রমুখ। এদিন চালু হওয়া প্লান্ট দু’টির মধ্যে একটি হল, বায়ো-মাইনিং অফ লেগ্যাসি ওয়েস্ট– অন্যটি প্লাস্টিক বর্জ্যরে প্রক্রিয়াকরণ প্লান্ট।
ফিরহাদ হাকিম বলেন– এই প্লান্টের মাধ্যমে ধাপায় দীর্ঘদিন ধরে স্তূপীকৃত বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তার পুনর্ব্যবহার করা যাবে। অন্যদিকে প্লাস্টিক বর্জ্যরে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে শহরকে প্লাস্টিকমুক্ত করা সম্ভব হবে। প্লান্ট থেকে পাওয়া প্রক্রিয়াগত পদার্থ কাজে লাগানো যাবে বলেও উল্লেখ করেন ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন– বড় প্রজেক্ট চালু করার আগে ধাপায় একটি বায়ো মাইনিং প্লান্ট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছিল। তাতে বিগত তিন মাসে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে।
পুরনিগমের তরফে খবর– দাপায় স্তূপীকৃত বর্জ্য আগামী তিন বছরেই প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। এই ৪০ লক্ষ টন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। ধাপার স্তূপীকৃত বর্জ্য পাহাড়ের মতো হয়ে গিয়েছে– প্রক্রিয়াকরণের কাজ হয়ে গেলে ধাপার ময়লা ফেলার জায়গা সমতল হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে– পরিবেশ সংক্রান্ত জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিতেই নয়া প্লান্ট চালু করল পুরনিগম।