পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চারদিনের সফরে ভারতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা। চারদিনের সফরে আজই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের প্রধানের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হল, দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া ৭টি সমঝোতা স্মারক সম্পর্কে। সেই সমঝোতা স্বাক্ষরগুলি হল
১. রহমিপুর হয়ে বাংলাদেশের সিলেটে কুশিয়ারা নদী থেকে সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের আওতায় ১৫৩ কিউসেক জল বণ্টনে সমঝোতা স্মারক।
২. ভারতের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) এবং বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক।
৩. ভারতের ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমি এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৪. বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের ভারতীয় রেলওয়ের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৫. বাংলাদেশ রেলওয়ের আইটি বিষয়ক সহযোগিতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৬. প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৭. মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
দিনের কর্মসূচির শুরুতে মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হয়। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলে তাকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। দুই প্রধানমন্ত্রী করমর্দন করেন। এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নয়াদিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা। এরপর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
এদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদ্বীপ ধনকর এবং পরে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।