পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ঋষি সুনক কে পিছনে ফেলে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে শেষ হাসি শেষ পর্যন্ত হেসেছেন লিজ ট্রাসই। প্রাথমিক ভাবে এগিয়ে ছিলেন ঋষি। কিন্তু লিজ ট্রাস বাজিপাত করেন নয়া সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। ।
১৯৭৫ সালের ২৬ জুলাই ব্রিটেনের অক্সফোর্ডে জন্ম ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর পুরো নাম মেরি এলিজাবেথ ট্রাস। দর্শন,রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং অর্থনীতি নিয়ে ১৯৯৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় থেকে ছাত্ররাজনীতিতে হাতেখড়ি। ছাত্র রাজনীতি যখন করতেন তিনি তখন লিবারেল ডেমোক্রাট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কনজারভেটিভ পার্টিতে আসেন।
বাবা লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধাপক ছিলেন, মা নার্স। বাবা কোনদিন লিজের কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগদান ভালোভাবে নেননি। বাড়িতে বরাবরই বামপন্থী আবহ। ভেবেছিলেন মেয়ের বিরুদ্ধে প্রচারও করবেন। মা অবশ্য মেয়ের হয়ে প্রচারে অংশ নেন।
রাজনীতীক হিসেবে কোনদিনই তেমন সাফল্য পাননি। ২০০১ এবং ২০০৫ পরপর কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন।
এবার নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নিয়েছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য। সবশেষ ১১ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর (এডওয়ার্ড হিথের পর থেকে) মধ্যে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী না হয়েই ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করা ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লিজ ট্রাস।
সোমবার ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির (১৯২২ কমিটি) চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডলি। তিনি জানান, নির্বাচনে ভোট পড়েছে প্রায় ৮২.৬ শতাংশ। ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন লিজ ট্রাস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯ ভোট।
অর্থাৎ ২০ হাজার ৯২৭ ভোটে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে হারিয়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ৪৭ বছর বয়সী লিজ ট্রাস। তিনি হবেন ব্রিটেনের তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। দেশটির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মার্গারেট থ্যাচার। তিনি ১৯৭৯ সাল হতে টানা ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। টেরেজা মে ২০১৬ সালে ব্রিটেনের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন, কিন্তু ব্রেক্সিট নিয়ে তীব্র বিভেদ এবং টানাপোড়েনের মধ্যে তাকে বিদায় নিতে হয়।