পুবের কলম প্রতিবেদকঃ গুরগাঁও – এনসিআর-এর সোহনা-গুড়গাঁও সড়কে জিডি গোয়েঙ্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে জোহরের নামায পড়েছিলেন কয়েকজন আফ্রিকান ছাত্র।এই দৃশ্য এই সপ্তাহের শুরুতে সাম্প্রদায়িক বিরোধের সূত্রপাত করে। যার বিরুদ্ধে প্রায় ২০ জন হিন্দু ছাত্রের একটি দল প্রতিবাদ করে। তাদের বক্তব্য,খোলা মাঠে নামায পড়া যাবেনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ক্যাম্পাসের করিডোরে বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ এবং ‘জয় শ্রী রাম’ এবং “ভারত মাত্তা কি জয়” এর মতো স্লোগান দেওয়ার ভিডিওগুলি তাৎক্ষণিকভাবে ভাইরাল হয়।
বিক্ষোভকারী ছাত্ররা দাবি করে, মুসলিম ছাত্রদের খোলা জায়গায় নামায পড়া উচিত নয়। তারা তাদের হোস্টেলের ঘরে বা তাদের উপাসনালয়ে নামায পড়তে পারে। তাদের প্রতিবাদ জানাতে তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
জিডি গোয়েঙ্কা ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ডঃ ধীরেন্দ্র সিং পরিহার মিডিয়াকে বলেন যে প্রায় “৮-১০” বিদেশী ছাত্র, যাদের বেশিরভাগই আফ্রিকান(নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, ইত্যাদি) দেশ থেকে এসেছে।তারা ফুটবল খেলছিল। নামাযের সময় হলে তারা খেলা বন্ধ করে মাঠেই নামায আদায় করেন।এরপর”কিছু হিন্দু ছাত্র বিক্ষোভ দেখায়। তারা বলে, ওরা হোস্টেলের কক্ষে বা মসজিদে নামায পড়তে পারে, কিন্তু খোলা জায়গায় নয়।”
পুলিশের এসিপি নবীন সিন্ধু মিডিয়াকে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, তবে বিষয়টি সেখানেই সমাধান করা হয়েছিল এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে যায়নি।
পর্যবেক্ষকমহলের মতে, ‘হিন্দুত্ব মতাদর্শ এখন একটি বিশাল সামাজিক ভিত্তি অর্জন করেছে যা ভেঙে ফেলা কঠিন হবে। গভীরে প্রোথিত হচ্ছে সাম্প্রদায়িক মতাদর্শ। এটি এমন একটি বিষয় যা প্রতিটি বুদ্ধিমান ভারতীয়র ভাবা উচিত। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ভাবনা কি আমাদের দেশে কখনো পুনরুদ্ধার হবে?’