পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রবিবার রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা বিজেন্দ্র যাদবকে গুলি করে হত্যা করেন কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি। বিহারের রোহতাস জেলার কারঘরের নিমডিহারা রোডের কাছে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে। সূত্রের খবর, আরজেডি নেতা বিজেন্দ্র যাদব কৃষিকাজের জন্য বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন। PACS সভাপতি বিজেন্দ্র যাদব যখন কৃষিকাজের জন্য যাচ্ছিলেন তখন ছয়জন বাইক আরোহী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তারমধ্যে দুটি গুলি সরাসরি আরজেডি নেতাকে গিয়ে আঘাত করে।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুরনো শত্রুতার জেরে খুন করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর দেহে দুটি গুলি লাগে। একটি গুলি লেগেছে ওই নেতার মাথায়। অন্য গুলিটি লেগেছে ঘাড়ে। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানও হয়েছে।ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোকের ছায়া নেমে পরে এলাকায়, এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে আত্মীয়- স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।হত্যার পর বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সাসারাম কোচাস সড়ক অবরোধ করে।এই ঘটনার জেরে করগাহার বাজারের দোকানপাটও বন্ধ ছিল। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের দাবি করেন।
উল্লেখ্য, এই ঘটনা প্রথম নয়, চলতি বছরের মে মাসে বিহারের গোপালগঞ্জে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের দলের এক ছাত্র নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।রাম ইকবাল যাদব নামক ওই ছাত্রনেতা, যাদবের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি ছিল তাঁর।যখন তিনি আক্রমণের শিকার হন তখন তিনি একটি অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। একইভাবে ২০১৯ সালে প্রাক্তন আরজেডি সাংসদ মহম্মদ শাহাবুদ্দিনের ভাগ্নে ইউসুফকে সিওয়ানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। একই বছর, দলের আরেক নেতা রঘুবর রায়কে কল্যাণপুরে তার বাড়ির বাইরে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয়।