পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ২০ বছরেরও বেশি সময় পুতিনকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখেছেন গর্বাচেভ। কখনও তিনি পুতিনের সমালোচনা করেছেন, কখনও করেছেন প্রশংসা। বিশেষ করে স্বৈরতন্ত্র ও দুর্নীতি ইস্যুতে পুতিনের সমালোচক ছিলেন তিনি। তবে সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভের শেষকৃত্য রাষ্ট্রীয়ভাবে আয়োজনের অনুমতি দেননি রাশিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিতও থাকবেন না। ক্রেমলিন বলেছে, পুতিন তার কর্মব্যস্ততার কারণে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচভের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে দিতে পারবেন না। গত মঙ্গলবার গর্বাচেভ মারা যান।
১৯৮৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর মিখাইল গর্ভাচেভ ‘গ্লাস্তনস্ত’ (উন্মুক্ততা) এবং ‘পেরেস্ত্রোইকা’ (পুনর্গঠন) নামে পরিচিত সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। এই ধরনের পদক্ষেপের কারণে হওয়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে প্রশংসিত হয়েছিলেন গর্ভাচেভ।
মূলত এ পদক্ষেপগুলোর কারণেই বার্লিন প্রাচীরের পতন, জার্মানির পুনর্মিলন এবং শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল। নভোদেভিচি সমাধিক্ষেত্রে স্ত্রী রাইসার পাশে গর্বাচেভকে সমাহিত করা হবে।
রাইসা ১৯৯৯ সালে মারা যান। এই সমাধিক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, কবি ও রাজপরিবারের সদস্যদের সমাহিত করা হয়। সেখানে গর্বাচেভের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়েলেৎসিন ও আরেক সোভিয়েত নেতা নিকিতা ত্রুশ্চেভকেও সমাহিত করা হয়েছে।