দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুরঃ“পদাধিকারবলে দেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতীর আচার্য। কিন্তু খুব বেদনার যে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের আচার্য যিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং উপাচার্য কেউই পরিবেশ আদলতের রায় মানছে না। যা আসলে আদালত অবমাননার শামিল। আমি চিঠি দিয়ে আচার্য ও উপাচার্যকে অনুরোধ করেছি, আবার তাঁদের স্মরণে আনার জন্য চিঠি দেব। তাতেও কাজ না হলে অত্যন্ত অপ্রীতিকর এবং বেদনাদায়ক কাজ নিরুপায় হয়েই আদালত অবমাননার মামলা রুজু করতে হবে। আমার কাজ সঠিক কথা বলা এবং বেঠিক কাজ হলে সোচ্চার হওয়া”। বোলপুরে এক বেসরকারি ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিবেশ আদলত ১ নভেম্বর ২০১৭ তে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কঠিন ও তরল বর্জ্য পদার্থ পরিশোধন ব্যবস্থা ঠিক মতন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। ফের ১৯ আগষ্ট ২০২০ তে এক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্ত এখনও পর্যন্ত ‘সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ রুল ২০১৬ ও Environment Protection Act, 1986 এর নিয়ম কে উল্ঙ্ঘন করেছে। এক বছর অতিক্রান্ত। ডি পি আর বা ডিটেইল প্রজেক্ট রিপোর্ট কোন বিশেষজ্ঞ দিয়ে করার কথা। যা করতে তিন থেকে ছ’মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু কেউ সদিচ্ছা দেখাননি। দেশের প্রধানমন্ত্রী যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সে প্রতিষ্ঠান “গ্রীন ট্রাইবুলেশেন” কোর্টের রায়কে অবমাননা করা অভিযোগ এক বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে দেখা যাচ্ছে। এতে ভারতবাসীর কাছে খারাপ নজির সৃষ্টি করেছে। অবস্থা শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদি সহ উপাচার্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয় সকলের কাছে অবগত করার জন্য সাংবাদিক বৈঠক, এরপর না হলে আবার আদলতে দ্বারস্থ হব।