পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এর আড়ালে এক বিজেপি নেত্রীর অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় স্তম্ভিত সমাজ। এক আধিবাসী মহিলার পরিচারিকার উপরে দীর্ঘ আট বছর ধরে অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রকে।
গরম তাওয়া দিয়ে মারধর করা থেকে, মেঝেতে পড়ে থাকা মূত্র চাটানোর অভিযোগ উঠেছে সীমা পাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনায় দল থেকে সীমাকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।
বিজেপি নেত্রীর এই নিন্দনীয় আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পেরে পদক্ষেপ নিয়েছে মহিলা কমিশন। মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে ঝাড়খণ্ড পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজন হলে সীমাকে গ্রেফতার করার আবেদন জানানো হয়।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় কার্যকরী কমিটির অন্যতম সদস্য সীমার স্বামী মহেশ্বর একজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা। সীমা নিজে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ অভিযানের একজন আহ্বায়ক।’
‘দলিত ভয়েস’ নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানে একজন অসুস্থ আদিবাসী নারীকে দেখা যাচ্ছে। তিনি কিছু বলার চেষ্টা করছেন। তার দাঁতভাঙা এবং শরীরে একাধিক ক্ষতও দেখতে পাওয়া যায়।
দলিত ভয়েসের দাবি, সীমার বাড়িতে ওই আদিবাসী নারী আট বছর ধরে নির্যাতনের শিকার। তাকে গরম তাওয়া এবং লোহার রড দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। জোর করে মেঝেতে পড়ে থাকা প্রস্রাবও তাকে দিয়ে চাটিয়েছেন সীমা। সীমার বাড়ির গৃহপরিচারিকাও ঝাড়খণ্ডেরই বাসিন্দা।
সেই সাসপেন্ড হওয়া নেত্রীকে বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।