পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: “আমি মুঘলদের জন্য গর্বিত, কারন তাঁরা দেশকে অখন্ড হিন্দুস্থানের রূপ দিয়েছিলেন। তারা বাইরে থেকে এলেও ভারতের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন। এখানকার সভ্যতা সংস্কৃতি আপন করে নিয়েছিলেন। কিন্তু আমি মুঘল নই, তাদের বংশধর নই”। অসমের বরপেটার কংগ্রেস সাংসদ আবদুল খালেকের এই মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক।
আবদুল খালেক আরও বলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মুঘলদের দের নিয়ে অস্বস্তির কথা সকলেই জানেন। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরাইঘাটের যুদ্ধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কংগ্রেস সাংসদ বলেন “অহোমরা মুঘলদের পরাজিত করেছিল, তবুও মুঘলদের প্রতি আমার কোন অ্যালার্জি নেই, কারন হিন্দুস্থান নামটি তাঁদের দেওয়া। হিন্দুস্থানের এক আকার দিয়েছিল তাঁরাই। এর আগে কেউ ভারতকে এমন আকার দিতে পারেনি। আব্দুল খালেকের কথায় “মনে রাখবেন, সেই সময়ে অসম একটি পৃথক রাজ্য ছিল এবং ভারত একটি ভিন্ন জাতি ছিল। বিরোধ ছিল ভারত ও আসামের মধ্যে। এখন আসাম ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং পরিস্থিতি ভিন্ন। আমার লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে দশটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজন আহোম রাজ্যে ছিল এবং বাকিরা অন্য রাজ্যে ছিল”
অসম সরকারের ওয়েবসাইট অনুসারে, সরাইঘাটের যুদ্ধ ছিল মুঘল ও আহোম সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি নৌ যুদ্ধ। অহোমদের ছোট নৌকার তুলনায় মুঘলদের বড় নৌকা ছিল।এই ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে আহোমরা ব্রহ্মপুত্র নদ পার করে সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে হৃত সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করেছিল।