দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: নিম্নচাপের জেরে ঝাড়খণ্ডসহ বীরভূম জেলায় একদিনের অতিবৃষ্টির জেরে বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় মরশুমি চাষ সহ সবজি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্ষায় অনেক জায়গায় ধান চাষের জন্য জমি রোঁয়ার কাজ সম্পূর্ণ। আবার এই সময় পটল, মুলো, শসা ওঠে। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে সেই ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। এদিকে বৈধরাসহ জেলার বিভিন্ন বাঁধে জল ছাড়ায় জেলায় অনেক নদীতে জল স্ফীতি ঘটেছে। বৈধরা ড্যামের জল ছাড়ায়, ব্রহ্মাণী নদীর জল বিপদ সীমার কাছাকাছি।
লকডাউনে আর্থিক কষ্টের মধ্যেই চাষিরা বিভিন্ন লোন নিয়ে চাষ করতে নেমে পড়েছেন জমিতে। কিন্তু ভারী বৃষ্টির জন্য অনেক জায়গাতে জলের তলায় চলে গেছে ধান রোঁয়া জমি।নানুর বিধানসভার কীর্নাহার ১ নম্বর পঞ্চায়েতের মহেশ গ্রাম মৌজার প্রায় একশো একর রোঁয়া ধানি জমি এখন জলের তলায়। মাথায় হাত চাষীদের।
কৃষক মধুসূদন মন্ডল বলেন, এখন লকডাউন এর সময় অনেক কষ্ট করে কৃষি লোন নিয়ে চাষ করেছি। রোঁয়া ধানি জমিসব জলে চলে গেছে। জমির উপরে প্রায় এক কোমর করে জল। সব ধান জলে ডুবে গেছে। অবস্থা খুবই খারাপ। সব ধান গাছ পঁচে যাবে।
নলহাটির বড়লা পঞ্চায়েতের নতুন গ্রাম, তৈল পাড়ায় একদিনের অতি বৃষ্টিতে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষি রামহরি মণ্ডলের তেইশ কাঠা জমির আখের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব জমিতে পড়ে গেছে। তাঁর স্ত্রী গৌতমী মণ্ডল বলেন, ষোলো কাঠা সদ্য রোঁয়া জমি এখন জলের তলায়। আর পাঁচ কাঠা জমির ধান পুঁততে বাকি আছে। এছাড়াও ন’ কাঠা পটল ও মূলোও শসারর জমিতে জল ঢুকে যাওয়ায় ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এখন কি হবে চিন্তায় আছি। একইভাবে অতি বৃষ্টির জেরে জল জমে যাওয়ায় রামপুরহাটের কামাক্ষ্যা গ্রামে একইভাবে রোয়া জমিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে, মুরারইয়ে সেরকম কোন ক্ষতি হয় নি বলে জানা গেছে।জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, অতি বৃষ্টির জেরে মরশুমি সহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের তদন্ত চলছে। সেই রিপোর্ট আসার পরই সরকারি তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।