পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি। ত্রিপোলিতে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত প্রায় ১৪০জন। সহিংসতা বন্ধে অবিলম্বে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। শনিবার দেশটিতে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমেডিয়ান মুস্তফা বারাত নিহত হন। এখনও দেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহ থেকেই বিবাদমান দলগুলো তাদের শক্তি বাড়াচ্ছিল। এরপর সংঘর্ষ বাধলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এতে ত্রিপোলির জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জরুরি বিভাগগুলো বলছে, সংঘর্ষের কবলে পড়েছে হাসপাতালও। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে অসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অন্যত্র। রাষ্ট্রসংঘের লিবিয়া মিশন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। ত্রিপোলির বাসিন্দা আবদুল মেনাম সেলিম সংঘর্ষ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভয়াবহ ঘটনা। আমার পরিবার ও আমি সংঘর্ষের কারণে ঘুমাতে পারিনি।’
গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। ফেব্রুয়ারিতে পূর্বাঞ্চলভিত্তিক পার্লামেন্টের সমর্থনে ফাতিহ বাশাঘা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর সংকট বাড়ে। তিনি জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী (ত্রিপোলিভিত্তিক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান) আবদুল হামিদ দেবাহকে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানান।
তবরুক ভিত্তিক পার্লামেন্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফাতিহকে সমর্থন দিলে রাষ্ট্রসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করে। উল্লেখ্য, লিবিয়ার ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে রয়েছে আবদুল হামিদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যের ত্রিপোলিভিত্তিক সরকার ও ফাতিহ বাশাঘার নেতৃত্বে দেশের পূর্বাঞ্চলভিত্তিক পার্লামেন্টের সমর্থনপুষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসন।