পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ গুজরাত দাঙ্গার ২০ বছর পরও সাক্ষীরা আতঙ্কের দিন গুজরান করছেন। শুধু তাই নয়, আজও মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতেও তাঁরা দ্বিধাবোধ করছেন। সম্প্রতি বিলকিস বানু মামলায় ১১ অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। বিশেষ করে অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার পর যেভাবে সাদরে তাদের বরণ করা হয়েছে, তা সত্যিই আতঙ্কের বিষয়। গুজরাত দাঙ্গা মামলায় সেলিম শেখ, নরোদা পাটিয়া প্রধান সাক্ষী ছিলেন।
এঁদের সাক্ষ্যেই আহমদাবাদের স্পেশাল কোর্ট তৎকালীন বিজেপির বিধায়ক মায়া কোডনানি-সহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনায়। আদালতের সামনেই সেলিম শেখ অপরাধীদের শনাক্ত করে। গুজরাত দাঙ্গা মামলায় ১০০ জনেরও বেশি প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য সুপ্রিম কোর্টের এক তদন্ত কমিটি নথিভুক্ত করেছিল। এদের বেশিরভাগ নিজেরাই দাঙ্গার শিকার অথবা আপনজনকে হারিয়েছেন। এদের কয়েকজন অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। গুজরাত দাঙ্গার কয়েকজন সাক্ষীর সঙ্গে বিবিসি’র সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করলে বেশিরভাগই মুখ খুলতে রাজি হয়নি। যারা মুখ খুলতে রাজি হন তাদের শর্ত ছিল, নাম পরিচয় যেন গোপন রাখার।
১১ জন খুনি-ধর্ষককে গুজরাত সরকার মুক্তি দেওয়ার পর বিলকিস বানুর বক্তব্যে স্পষ্ট তিনি তাঁর পরিবার- পরিজনের সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। বিলকিসের পরিচিতরা জানান, দাঙ্গার পর থেকে বিলকিসের পরিবার এক জায়গায় বেশিদিন বসবাস করেন না। গত দশ বছরে বহুবার তাঁদের ঠিকানা বদলেছেন। বিলকিস তাঁর আবেদনে এই ১১ অভিযুক্তকে ফের জেলে পোরার আর্জি জানিয়েছেন। এর একটি কারণ অবশ্যই মামলায় সাক্ষ্যদানকারীদের সুরক্ষা।