পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। প্রাথমিকভাবে সোনালির মৃত্যুতে হৃদরোগের তত্ত্ব খাড়া করা হলেও এবার এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ উঠল।
ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো না হলেও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সোনালির পানীয়তে কিছু মেশানো হয়েছিল। ধৃত দুইজন এই কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তার ভিত্তিতেই পুলিশ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইতিমধ্যেই গোয়া পুলিশ কার্লি রেস্তরাঁর সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃত দুই সহযোগীর নাম সুধীর সাংওয়ান এবং সুখবিন্দর সিং। যাতে তারা প্রমাণ নষ্ট করতে না পারে তার জন্য তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারি অফিসার জানিয়েছেন, ভিসেরা রিপোর্ট আসার পরে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
সোনালির পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তারা সন্তুষ্ট নয়। সোনালীর ভাই রিঙ্কু ঢাকা জানিয়েছেন, তিনি নতুন দিল্লির এইমস-এ আবার ময়নাতদন্ত করবেন। আমার বোন বিজেপিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল, কিন্তু বিজেপির একজন নেতাও আমাদের সাহায্য করতে আসেননি। আমি সুবিচার চাই।
সোনালিকে পানীয়তে বিষ মিশিয়ে খাওনোর অভিযোগ তুলে রিঙ্কু দাবি করেছেন, আমি দেখেছি আমার বোনের মুখ, গলা নীল হয়ে গিয়েছিল। আমার বোন শারীরিকভাবে সুস্থ। হৃদরোগে মৃত্যু হতে পারে না।
রিঙ্কু ঢাকা সুধীর সাংওয়ান এবং সুখবিন্দর সিংয়ের নামে সোনালিকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলেছেন। সোনালির ভাই রিঙ্কুর ঢাকা বলেছেন, খুনিদের উদ্দেশ্য ছিল, সম্পত্তি, টাকা হাতিয়ে সোনালির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেওয়া।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার বলেছেন, পরিবারের আবেদন মেনে সোনালি ফোগাটের গোয়া ছাড়াও চণ্ডিগড় থেকে ভিসেরা রিপোর্ট করানো হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেত্রী, বিজেপি নেত্রী সোনালি ফাগাট গত সোমবার রাতে গোয়ার একটি রেস্তরাঁয় যান তার দুজন সহযোগীর সঙ্গে। সেই সময় সোনালিকে পানীয় খেতে বাধ্য করে তার দুই সহযোগী। পুলিশ জানিয়েছে, রেস্তরাঁর সিসি ফুটেজ সহ ধৃতদের বয়ান অনুযায়ী এত তথ্য তাদের হাতে এসেছে। এই পানীয় পান করার কিছুক্ষণের পরেই অস্বস্তি বোধ করেন সোনালি। তার পরেই তাকে তড়িঘড়ি উত্তর গোয়ার অঞ্জুমায় সেন্ট অ্যান্থনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে সকালে তার মৃত্যু হয়।